দিদির হাত ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে গুরুং: দিলীপ ঘোষ

পাহাড়ে রাজনৈতিক সমাধানের আগে জিটিএ নির্বাচন নয়৷ এই দাবিতে সোমবার থেকেই দার্জিলিং ম্যালে আমরণ অনশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন গোজমুমো নেতা বিমল গুরুং৷ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে…

Dilip-Mamata

পাহাড়ে রাজনৈতিক সমাধানের আগে জিটিএ নির্বাচন নয়৷ এই দাবিতে সোমবার থেকেই দার্জিলিং ম্যালে আমরণ অনশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন গোজমুমো নেতা বিমল গুরুং৷ বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে তৃণমূল সঙ্গী বিমল গুরুংয়ের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “বিমল গুরুং হারিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর সংগঠন শেষ হয়ে গেছে। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। জমি খুঁজে পেতে হবে। এখন দিদির হাত ধরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন। দিদি নির্বাচন ঘোষণা করবেন। উনি বিরোধিতা করবেন। পাহাড়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি”৷

   

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধানের আগে জিটিএ নির্বাচন নয়। এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের চুক্তি অনুযায়ী স্থায়ী সমস্যার সমাধান চাই। সেইসঙ্গে দাবি করলেন আরও বেশী ক্ষমতার। উত্তরবঙ্গের ৩৯৬টি মৌজাকে জিটিএ’র অধীনে আনার দাবিও রেখেছেন তিনি।

গোজমুমোর গুরুং শিবিরের বক্তব্য ২০১১ সালে রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এখনও অবধি তার কিছুই পালন করেনি। সেইসমস্ত ক্ষমতা জিটিএ এর হাতে তুলে দিলে তবেই নির্বাচন হবে বলেও দাবি গুরুংয়ের। এ জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চান তিনি।

তৃণমূলের উদ্দেশ্যে গুরুংয়ের বার্তা, এখন তাঁরা বিজেপির সঙ্গী নয়, তৃণমূলের সঙ্গী। এই জোট যাতে অক্ষত থাকে তার জন্য পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করতে হবে তৃণমূলকে। সেইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল, জোর করে জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা হলে আমি আমরণ অনশনে বসব।

চলতি বছরেই দার্জিলিং সফরে গিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলে রাজি থাকলেও একাধিক শর্ত রেখেছিল গুরুংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এখন গুরুং স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি নির্বাচনের পক্ষে নয়।

২০১৭ সালের জিটিএ নির্বাচনের কথা উঠলে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবীতে সরব হয়েছিল গুরুং। সেবার উত্তপ্ত হয় পাহাড়। তারপর অন্তরালে থেকেই বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে গেছেন তিনি। ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান। এবার জিটিএ নির্বাচনের কথা উঠলে ফের বিরোধীতায় সরব হয়েছেন বিমল গুরুং।

গুরুংয়ের অনশন কর্মসূচি ও জিটিএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হতে পারে পাহাড়।