Darjeeling: জিটিএ ভোট নয় দাবিতে গুরুংপন্থী ‘গোজমুমো’ রিলে অনশনে, গরম হচ্ছে দার্জিলিং

গান্ধীগিরি তাঁর ধাতেই নেই। যে কোনও সময় একটা কিছু ঘটিয়ে দিতে পারেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং। আপাতত অনশন রাজনীতি তাঁর হাতিয়ার। গোর্খাল্যান্ড…

গান্ধীগিরি তাঁর ধাতেই নেই। যে কোনও সময় একটা কিছু ঘটিয়ে দিতে পারেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং। আপাতত অনশন রাজনীতি তাঁর হাতিয়ার। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল নির্বাতচন (GTA)এখনই না চেয়ে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) শুরু হচ্ছে গুরুংপন্থীদের রিলে অনশন।

সোমবার থেকে অনশন চলবে দুদিন বলে জানিয়েছেন বিমল গুরুং। এরপর তিনি নিজে জিটিএ ভোট বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশন করবেন বলে জানান। সেই অনশন ঘিরে রাজনৈতিক হাওয়ায় দার্জিলিং ও কালিম্পং দুটি জেলার পার্বত্যাঞ্চল গরম হতে চলেছে। পর্যটনের মরশুমে দার্জিলিং শহরে অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে ঘুরতে আসা দেশি বিদেশি পর্যটকদের বার্তা দিতে চান গুরুং।

গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA) ভোট এখনই দরকার নেই। এমনই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং। তিনি লিখেছেন, দার্জিলিং পার্বত্য এলাকায় রাজনৈতিক স্থায়িত্ব সমাধানের আগে জিটিএ নির্বাচন নয়। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১১ সালের চুক্তি অনুযায়ী স্থায়ী সমস্যার সমাধান চাই। সেইসঙ্গে দাবি করেন আরও বেশী ক্ষমতা।উত্তরবঙ্গের ৩৯৬টি মৌজাকে জিটিএ অধীনে আনার দাবিও রেখেছেন তিনি।

গুরুং ও তাঁর শিবিরের বক্তব্য ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সরকার যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এখনও কিছুই পালন করেনি। ক্ষমতা জিটিএ হাতে তুলে দিলে তবেই নির্বাচন হবে বলেও দাবি গুরুংয়ের। এ জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চান তিনি।

মনে করা হচ্ছে, পুরভোটে দার্জিলিং শহরের রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া গুরুং নতুন করে নিজেকে জাহির করতে চাইছেন। দার্জিলিং এখন হামরো পার্টির দখলে। তবে গুরুং বিরোধী শিবির কিছুটা শক্তি দেখাতে পারে। কিন্তু যে ক্ষমতা এতদিন গুরুং দেখিয়েছেন তা এখন আর নেই।

তৃণমূলের উদ্দেশ্যে গুরুংয়ের বার্তা, এখন তাঁরা বিজেপির সঙ্গী নয়, তৃণমূলের সঙ্গী। এই জোট যাতে অক্ষত থাকে তার জন্য পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান করতে হবে তৃণমূলকে। সেইসঙ্গে গুরুংয়ের বক্তব্য ছিল, জোর করে জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা হলে আমি আমরণ অনশনে বসব।

চলতি বছরেই দার্জিলিং সফরে গিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলে রাজি থাকলেও একাধিক শর্ত রেখেছিল গুরুংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এখন স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি নির্বাচনের পক্ষে নয়।

২০১৭ সালের জিটিএ নির্বাচনের কথা উঠলে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব হয়েছিল গুরুং। সেবার উত্তপ্ত হয় পাহাড়। তারপর অন্তরালে থেকেই বিজেপিকে সমর্থন জানিয়ে গেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গিয়ে উত্তেজনাময় রক্তাক্ত আন্দোলন চালান। তিনি এলাকাছাড়া হন। পরে একুশেএর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান। পলাতক হুলিয়া মাথায় নিয়ে দার্জিলিং ফিরে এলেও রাজনৈতিকভাবে তেমন কিছু ফল দিতে পারেননি।এবার জিটিএ নির্বাচনের কথা উঠলে ফের টিএমসি বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিমল গুরুং।