Dilip Ghosh confident: বাংলার বিজেপি সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা: দিলীপ ঘোষ

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিজেপিতে ফেরার জল্পনার মধ্যেই বিজেপি (BJP) সাংসদ এবং জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন

dilip-ghoash

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিজেপিতে ফেরার জল্পনার মধ্যেই বিজেপি (BJP) সাংসদ এবং জাতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, শুধু সময়ের অপেক্ষা। পরের বার রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠিত হবে।

মঙ্গলবার মর্নিং ওয়াক উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ এসব কথা বলেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলার ভবিষ্যৎ বিজেপির হাতে। গত নির্বাচনে ভোট দিয়ে রাজ্যের মানুষ তা দেখিয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার বাংলা সফরের সময় দাবি করেছিলেন যে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৫টি আসন পাবে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অকালে পতন হবে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

দিলীপ ঘোষ বলেন, “আগে রাজ্যে কংগ্রেস ছিল। তারপর সিপিএম, সিপিএমের পর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠিত হয়। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পর বিজেপির সরকার হবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একবার লোকসভা ও বিধানসভায় ভোট দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বিজেপিই বাংলার ভবিষ্যত। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। অমিত শাহ বলেছেন যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসন পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পতন হবে।

তিনি বলেন, ৩৫টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৯ সালে ১৮টি আসনে জয়ী হওয়ায় সরকারের ভিত নড়ে যায়। ২০২১ সালের নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাদের দৌড় শুরু হয়েছিল। কয়েক ডজন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দিদি জানেন যে তাঁর বিধায়ক এবং সাংসদরা তাঁর সাথে আছেন যতক্ষণ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে, যেদিন এখানে-ওখানে একটু নড়াচড়া হবে, তারা থাকবে না। মানুষের প্রতি তার বিশ্বাস নেই।”

বিধায়ক জেলে গেলে সরকার চলবে কী করে
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এজেন্সিকে ভয় দেখানো হচ্ছে, যেখানে বিজেপি সরকার আছে সেখানে ইডি ও সিবিআই কেন যায় না? এই প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেখানে দুর্নীতি হবে, ইডি ও সিবিআই সেখানে যাবে। তার আগেও বিজেপি ১০ থেকে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল, যেখানে কংগ্রেসের সেই রাজ্যে সিবিআই পাঠানোর সাহস ছিল না। নারদ-শারদা মামলায় বারবার সিবিআই এ রাজ্যে আসে, তখন বিজেপি ছিল না।

তিনি বলেন, “আসলে সমস্ত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আর যেখান থেকে অনুপ্রেরণা এসেছে, তীর এখন সেই দিকেই যাচ্ছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিধায়করা। ফোন পুকুরে ফেলে দেওয়া। পালানোর জন্য গাছে চড়া। সিবিআই এবং ইডির কাজ হল কোথায় দুর্নীতি হয়েছে তা খুঁজে বের করা এবং তারা একই কাজ করছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বোঝা গেলেও পরিস্থিতি যে তৈরি হচ্ছে তাও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। লাইন থেকে বিধায়করা জেলে গেলে সরকার চলবে কীভাবে?