ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে শুক্রবার দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের অফিসে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে বৈধ ভোটার হওয়া সত্ত্বেও ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।
ভোটার হওয়া সত্ত্বেও তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এমন ২৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে কমিশনের অফিসে শুক্রবার আসেন শুভেন্দু। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া সকলেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা এবং বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত বলে জানান। অভিযোগ যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে এই কাজে বিডিও, এসডিও, এবং জেলাশাসকরাও জড়িত। নির্বাচনের কমিশনারকেও তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভোটার তালিকায় কারচুরপির অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ডায়মন্ড হারবার, আলিপুর-সহ গোটা রাজ্যের অনেক এসডিও এই অপকর্মে সামিল হয়েছে। এটাতে মৌখিক সম্মতি দিয়েছেন জেলাশাসকরা।” শুভেন্দু আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকায় এ বার যে ধরনের কারচুপি যেভাবে বিডিওদের নেতৃত্বে হয়েছে, তাতে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও যোগসাজশ রয়েছে। সংঘঠিতভাবে এই অপরাধ করা হয়েছে। এ ঘটনা ভারতেও কোথাও হয়নি।”
ভোটার লিস্টে কারচুপিকে ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ অ্যাখ্যা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন যে রাজ্যের ৪২টি আসনে কমবেশি এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের যাতে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি কমিশনারের কাছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছি কমিশনে।”