AKAPL: অ্যাবাকাস ট্রেনিং সেন্টার নিয়ে আট জায়গায় হাজির অনন্যা

শুধু আবেগ নয়, রীতিমতো সংকল্প নিয়ে ব্যবসায় পা রেখেছেন অনন্যা দাস মহাপাত্র। আজ তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পথে। তাঁর অ্যানা নলেজ অ্যারেনা প্রাইভেট…

শুধু আবেগ নয়, রীতিমতো সংকল্প নিয়ে ব্যবসায় পা রেখেছেন অনন্যা দাস মহাপাত্র। আজ তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পথে। তাঁর অ্যানা নলেজ অ্যারেনা প্রাইভেট লিমিটেড (AKAPL) এখন পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে ঊড়িশ্যার ভদ্রকে পৌঁছে গিয়েছে। এটি একটি অ্যাবাকাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেখানে খেলার ছলে বাচ্চাদের অ্যাবাকাস শেখানো হয়।

অ্যাবাকাস একটি শিক্ষণ যন্ত্র যা ৫ থেকে ১৫ বছরের বাচ্চাদের মস্তিষ্কের বাম ও ডান অংশের কর্মক্ষমতা বাড়ায় বলে ধারণা করা হয়। এটি দ্রুত গণণা, বাস্তব যুক্তির পাশাপাশি কল্পনা শক্তি বাড়ায়। বাচ্চাদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে অনন্যা শিখেছিলেন অ্যাবাকাস। এখন তিনি তাঁর জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে চাইছেন তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে।

শুধু অ্যাবাকাসই নয় অনন্যা মেকআপ কোর্স শিখেছেন। অবসর সময়ে ফটোশ্যুট সেশনের জন্য মেকআপ আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রায়শই নাচের ভিডিও আপলোড করে থাকেন।

akalp

তবে তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনার বেস্ট অ্যাচিভমেন্ট কী?’ তখন তিনি অ্যাবাকাস সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং সেখানে অ্যাবাকাস শিক্ষকদের একটি উল্লেখযোগ্য টিম তৈরির চ্যালেঞ্জটিকেই বেছে নেন।

অনন্যা’র সকাল শুরু হয় বাকি পাঁচটা হাউসমেকারের মতো। সাংসারিক কাজ ও রান্নাবান্না সেরে অফিসের পথে পা বাড়ান। আর পাশে পান তাঁর স্বামী শ্যামাপদ সাহুকে। যিনি অনন্যার সঙ্গে কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অনন্যার ভাই হিল্লোল রায়, ট্রেইনিং ম্যানেজার সুস্মিতা রায়।

মধ্যমগ্রাম, মানিকতলা, শ্যামনগর, মোহনপুর, গোরাবাজার, ভদ্রক ও হাবরাতে তাঁদের সেন্টার রয়েছে। মোট চারটি ভাষায় এই সেন্টারে অ্যাবাকাস শেখানো হবে। থাকবে অ্যাবাকাস টিচার’স ট্রেইনিং প্রোগ্রাম ও ডেমো ক্লাসের সুবিধা।

এই সেন্টার শুধু বাচ্চাদের জন্য নয়, যাঁরা অ্যাবাকাস শিখে অন্যদের শেখাতে চান, তাঁদের জন্যও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা কলেজ পড়ুয়া হাউস মেকার্স সকলকে তাদের এই কর্মকান্ডে যোগ দেওয়ার আহবান জানায়।