শোভনকে ‘ভাঁড়’ বলায় ক্ষিপ্ত বৈশাখী, শুভেন্দুকে কী বললেন?

নন্দীগ্রামের (Nandigram) ইতিহাস তুলে ধরে মমতাকে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে জবাব দিতে মৌনতা ভেঙেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)।…

নন্দীগ্রামের (Nandigram) ইতিহাস তুলে ধরে মমতাকে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে জবাব দিতে মৌনতা ভেঙেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছেন শুভেন্দু। এমনই তোপ দাগেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র৷ সেখান থেকে শুরু বাদানুবাদ বিতর্ক। শোভনকে ভা্ঁড় বলে কটাক্ষ করতেই আসরে নামলেন (Baisakhi Banerjee) বৈশাখী। নাম না করে শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, “ভণ্ডামি আর ভাঁওতাবাজীর থেকে ভাঁড়ামি অনেক ভালো”।

বৈশাখী হলেন শোভন চ্যাটার্জির ‘সিঁদুর পরানো বান্ধবী’। এমনই গুঞ্জন চলে তৃণমূলেরই অন্দরে। 

ঘটনার সূত্রপাত কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে। সেদিন কাঁথির শান্তিকুঞ্জের বাড়িতে উপস্থিত হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতা ব্যানার্জী যে বাড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, এই বাড়িতে ছিলেন উনি। ২০০৮ এর ১৪ই মার্চ এই বাড়ির ছাদে ছিলেন। নন্দীগ্রাম না হলে দিদি থেকে দিদিমা হতেন মুখ্যমন্ত্রী হতেন না।

সেদিনেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও বার্তায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ না ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ তা নিয়েই ধন্দে উনি। ঘটনাটা ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ। যে দিন নন্দীগ্রামে গুলি চলে, সে দিন আমি উপস্থিত ছিলাম মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে। তৃণমূল ভবনে। সেটা নিশ্চয়ই শান্তিকুঞ্জ ছিল না। আমার মনে আছে মমতা ব্যানার্জি চোখে জল…। ঝরঝর করে কাঁদছেন। বললেন, ‘ওরা সবাইকে মেরে ফেলল কানন, চল আমরা নন্দীগ্রামে যাই।’ বিকেল সাড়ে ৩টে -৪টের সময় আমরা রওনা হয়েছিলাম। সেই দিন শুভেন্দু কোথায় ছিলেন? প্রশ্ন তুলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

শোভন জানান, সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার আটকে দেওয়া হচ্ছিল। কোদাল, গাঁইতি দিয়ে পথ আটকানো হয়েছিল চণ্ডিপুরে। সেদিন শুভেন্দু অধিকারী কোথায় ছিলেন? কেন তিনি রাজনীতি করতে নেমে ইতিহাসকে বিকৃত করছেন? প্রশ্ন তুলেছেন অন্তরাল থেকে বেরিয়ে আসা শোভন। শুভেন্দুকে স্মরণ করিয়ে শোভন বলেন, আমি-আপনি সব ওঁরই হাতে তৈরি। মনে রাখবেন, সৃষ্টি যদি স্রষ্টাকে অপমান করেন, তবে স্রষ্টার কিছু যাবে আসবে না। মানুষ সব দেখছেন তাঁরাই বুঝিয়ে দেবেন।

এখন বৈশাখী আসরে নামতেই রাজনৈতিক মহলে পারদ চড়তে শুরু করেছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণের কড়া জবাব দিতে নেমেছিলেন বৈশাখীর নির্দেশেই। তাই আজ শুভেন্দুকে জবাব দিতে আসরে নামলেন বৈশাখী।