কখনও ফেজ টুপি কখনও হরে কৃষ্ণ বলে ভণ্ডামি করছেন শুভেন্দু, বিস্ফোরক বৈশাখী

মমতা বনাম শুভেন্দুর রাজনৈতিক বাদানুবাদে হঠাৎ এন্ট্রি অন্তরালে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)কড়া আক্রমণ। পাল্টা আক্রমণে ভাঁড় বলে সম্মোধন করেন বিরোধী দলনেতা। শোভনকে আক্রমণে…

Baisakhi Sovan Banerjee

মমতা বনাম শুভেন্দুর রাজনৈতিক বাদানুবাদে হঠাৎ এন্ট্রি অন্তরালে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)কড়া আক্রমণ। পাল্টা আক্রমণে ভাঁড় বলে সম্মোধন করেন বিরোধী দলনেতা। শোভনকে আক্রমণে চুপ থাকতে পারলেন না বান্ধবী বৈশাখী (Baisakhi Banerjee)৷ সরাসরি তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে।

  • তৃ়ণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বারবার বলেছেন, শোভন হলেন বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি।
  • বৈশাখী এর প্রতিক্রিয়া দেননি।
  • রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, কুণালের সেই মন্তব্য উপভোগ করেছিলেন বৈশাখী।

প্রথমে ফেসবুক পোস্টে বৈশাখী জানিয়েছিলেন, “ভণ্ডামি আর ভাঁওতাবাজীর থেকে ভাঁড়ামি অনেক ভালো”। এবার ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে তোপ দাগলেন নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে৷ তিনি বলেন, “শোভনের কথার ধারে আর তার কথার ভারে খানিকটা বোধ হয় কাবু হয়ে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ওনার নাম না নিয়ে ওনাকে ভাঁড় বলে অভিহিত করার চেষ্টা করেছেন”। তার প্রশ্ন, ভণ্ডামি আর ভাঁওতাবাজির থেকে ভাঁড়ামি ভালো নয়?

বৈশাখীর প্রশ্ন, শুভেন্দুবাবু কখনও নিজেকে প্রশ্ন করবেন, যে আপনি আদৌ কখনও সিরিয়াস পলিটিক্স করেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাকে বেশ ভালো একটা ট্রেনিং দিয়েছিলেন৷ নন্দীগ্রামে আপনার, শিশির বাবুর হাত না ধরলে নবান্নে পৌঁছাতে পারতেন না? এতবড় কথাটা বললেন? আসল সত্যটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃপা না পেলে আপনি কোনদিনই নবান্নের মন্ত্রী হতে পারতেন না। আজ যে বিরোধী দলনেতা বলে বেড়াচ্ছেন সেটাও হতে পারতেন না।

এরপরেই মমতার পক্ষ নিয়ে বৈশাখীর মন্তব্য, মমতা বন্দোপাধ্যায় সংঘর্ষের অপর নাম৷ এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শোভনদের মতো ছেলেরা রাস্তায় ঝাঁট দিতে দিতে মেয়র হয়েছেম আপনি করেছেন এতবড় আন্দোলন? আপনি করেছেন প্রতিবাদ? দেখাতে পারবেন? কখনও ফেজ টুপি পরে, কখনও হরে কৃষ্ণ হরে রাম করে ভণ্ডামি করছেন৷ কখনও মেটিয়াবুরুজে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখে ভোট ভিক্ষা করতে হয়েছে। তখন সেটা তুষ্টিকরণ না, আপনার পুষ্টিকরণ হয়েছে।

এরপরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ বৈশাখীর বক্তব্য, আপনার মতো স্বার্থান্বেষী মানুষেরা কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীদেরকে সমালোচনা করেন বলুন তো? শোভনদের মতো চুনোপুটি নেতাদেরও আপনাদের সমালোচনা করার অধিকার নেই৷ শোভনদের যা কন্ট্রিবিউশান আপনার তার ১ চুলও নেইম অন্যকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না। আপনাকে পরম স্নেহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা জায়গা দিয়েছিলেন৷ জানতেন না হাতে ছিল আপনার ছুরি যে কোনও সময় পিছন থেকে ছুরি পেরে আখের গুছিয়ে নিয়ে চলে গেছেন।

বাংলার রাজনীতিতে অন্যতম চর্চিত যুগল। তাদের আত্মীক যোগের কথা বাংলার মানুষের কাছে সর্বজনবিদিত। তাই শোভনকে আক্রমণ করলে বৈশাখী ময়দানে নামবে, তা আন্দাজ করতে পেরেছিল রাজনৈতিক মহল৷ সেটাই হল। শুধুমাত্র ফেসবুক পোস্টে নয়, ভিডিও বার্তাতেও কড়া বাক্যবাণে শুভেন্দুকে বিঁধলেন তিনি।