অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করবেন রাজ্যপাল

সোমবার মোট ৬৯৬ টি বুথে পঞ্চায়েতের পুরর্নির্বাচন চলছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭ টা থেকে। শুরুটা শান্তিপূর্ণ হলেও বেলা বাড়তেই আসতে শুরু করেছে মৃত্যুর খবর।…

West Bengal Governor CV Anand Bose

সোমবার মোট ৬৯৬ টি বুথে পঞ্চায়েতের পুরর্নির্বাচন চলছে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭ টা থেকে। শুরুটা শান্তিপূর্ণ হলেও বেলা বাড়তেই আসতে শুরু করেছে মৃত্যুর খবর। সন্ত্রাস বলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ এ।

গতকাল জরুরী ভিত্তিতে দিল্লি যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রবিবার বিকেলের বিমানেই রওনা দেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। রবিবারই পৌঁছান তিনি।

আজ একাধিক বৈঠিক করতে পারেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর সঙ্গে দেখা করবেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। এরপর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। পঞ্চায়েত রিপোর্ট পেশ করতে প্রস্তুত রাজ্যপাল। তবে কি কেন্দ্র বড় কোনও নিতে চলেছে?

শনিবার হয়েছে গ্রাম-বাংলার ভোট উঠ’শব।’ ভোটকে কেন্দ্র করে দিকে দিকে চলে সন্ত্রাস। ভোট গ্রহণের আগে থেকে ভোট শেষ হওয়ার পরে শুধু পড়েছে একটার পর একটা লাশ। মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার ছিল ভোটসন্ত্রাসের হটস্পট।

রবিবারও রাজনৈতিক মৃত্যুর খবর এসেছে। সোমবারও ছিল উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। ভোট সন্ত্রাস নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন বিরোধী দলগুলি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ফলাফলের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্বাচন বাতিলের করার হূঁশিয়ারি দিয়েছেন। আদালতের দ্বারস্থ হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চও।

পঞ্চায়েতের সন্ত্রাসের দায় নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। এই দাবিতেই আদালতের দ্বারস্থ হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

ভোট রুখতে হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালে। সন্ত্রাসমুক্ত পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে, ভোটাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এমন বার্তা প্রশাসনকে দেন তিনি। তাঁর আবেদন অকার্যকর বলেই প্রমাণ হয়েছে ভোটের দিন সকালে।

তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সরাসরি নির্বাচন কমিশনকেই তুলোধনা করেন। তাঁর নিশানায় ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। কমিশনের সমালোচনা করে রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।