Odisha: পুরীর মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে পুরোহিতের লালসার শিকার নাবালিকা

নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের পর এবার পুরী। এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরেই এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।…

Puri  Jagannath temple

নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ের পর এবার পুরী। এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরেই এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা নাবালিকা হায়দরাবাদের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সে পুরীর মন্দিরে গিয়েছিল।

সন্ধ্যারতির সময় ওই নাবালিকা জগন্নাথ মন্দিরের ভিতর বামন মন্দিরে বসে প্রার্থনা করছিল। পরিবারের অন্য সদস্যরা ছিল কিছুটা দূরে। সে সময় নাবালিকাকে একা পেয়ে এই কাজটি করে অভিযুক্ত পুরোহিত। ঘটনার পর নাবালিকা কাঁদতে কাঁদতে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসে। পরিবারের সদস্যদের সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। অভিযুক্ত পুরোহিতের বিরুদ্ধে সিংহদ্ধার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। নির্যাতিতা নাবালিকাও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার বিবরণ দেয়। নাবালিকার বক্তব্যের ভিত্তিতে ওই পুরোহিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভিতর ছোটো-বড় মিলিয়ে মোট ১৩৬টি মন্দির রয়েছে। তারই একটি হল বামন মন্দির। মন্দিরের পূজারী বা পুরোহিতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কয়েকদিন আগেই দিল্লির ক্যান্টমেন্ট এলাকায় এক কিশোরীকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল এক পুরোহিত।

এধরনের একটি ধর্ষণের মামলায় মন্দিরের পূজারীর পৌরহিত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কেরল হাইকোর্ট। এক কিশোরীকে তার দুই বোনের সামনেই নিয়মিত ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল এক পূজারীর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় বিচারপতি বলেন, ‘কোন দেবতা এমন পুরোহিতের পুজো গ্রহণ করেন।’ পকসো আইনে মামলা দায়ের হয় ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত ওই মামলায় পুরোহিতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।

কেরলের ইদুক্কির এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তানকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অসহায় ওই মহিলা নিজের তিন সন্তানের জন্য একটু আশ্রয় খুঁজছিলেন। নিরাশ্রয়, অসহায় মহিলার কথা জানতে পেরে তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন ওই পূজারী। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপর সামনে আসে ওই পুরোহিতের আসল চেহারা। মহিলার বড় মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে ওই পুরোহিত। অন্য দুই মেয়ের সামনেই চলত যৌন নির্যাতন। প্রায় এক বছর ধরে এই অত্যাচার সহ্য করতে হয় ওই নিবালিকাকে।

সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে যখন স্বামী চলে যায়, তখন তিনি খুবই অসহায় হয়ে পড়েন। পূজারি সেই অসহায় মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছিল শুধুমাত্র ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের জন্য। এটা ভাবা যায় না।’ এমন পুরোহিতের পুজো কোন দেবতা গ্রহণ করেন সেটাই জানতে ইচ্ছে করে।