শপথ গ্রহণের পর শনিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক সারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Anand Bose) । গত কয়েকমাসে নবান্নের সঙ্গে যে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল, তা এবার সংঘাতের কালো মেঘে পরিণত হতে শুরু করেছে। এদিন রাজ্যপাল ও সুকান্তর বৈঠকের পর রাজ্যপালের বিবৃতি সেই আভাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: বিজেপির সভার ময়লা সাফ করে পাপক্ষয় করবে তৃণমূল: শুভেন্দু
এদিন বিবৃতিতে গত দুই মাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, এক, ভারতের সংবিধান অক্ষুন্ন রাখা। দুই, আইনের শাসন সুনিশ্চিত করা। তিনি, বাংলার মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা। এরপরেই আজ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল। সুকান্ত তাঁর কাছে রাজ্যে দুর্নীতি ও বেনিয়মের পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগাম সন্ত্রাসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন বোতল-বাহককে প্রার্থী নয়- অভিষেক
এমনকি রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে যথা সময়ে কার্যকরী ও সক্রিয় হস্তক্ষেপ করা হবে।একইসঙ্গে আসন্ন নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়, সেদিকেও নজর রাখা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের শাসক দলের হিংসার আগাম পূর্বাভাস রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিয়েছেন। সেই কথাও উল্লেখ রয়েছে রাজ্যপালের বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: Dearness Allowance: ন্যায্য ডিএ চেয়ে ১৩ তারিখ পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের
রাজ্যপাল পদে জগদীপ ধনকড় থাকাকালীন রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরবর্তীকালে লা গণেশনের সময়ে সেই ফাটল অনেকটাই মেরামত হয়েছিল। দুই মাস আগে রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তখন থেকেই রাজ্যের সঙ্গে তাঁর সুমধুর সম্পর্ক মোটেই ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি নেতারা। বরং রাজভবনের কার্যকলাপ নিয়ে টিপ্পনী কাটতে দেখা গেছে তাঁদেরকে। আজ সুকান্ত বৈঠকের পর পরিস্থিতি বিজেপি নেতাদের জন্য অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: Tripura Election 2023: ত্রিপুরায় নিয়োগ প্রতিশ্রুতি নিয়ে নীরব মোদী, বললেন আবার জিতিয়ে দিন
রাজ্যপাল ইস্যুতে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফাঁদে উনি পা দিয়েছেন। রাজ্যপাল ভাল মানুষ। শিক্ষিত লোক। উনি ট্র্যাকে ফিরে আসুন, সঠিক রাস্তায় ফিরে আসুন। গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী ও জগদীপ ধনখড়ের দেখানো পথে সাংবিধানের রক্ষক হিসেবে উনি কাজ করুক। আমার বিশ্বাস, উনি ট্র্যাকে আসতে শুরু করেছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। উনি আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন, এটা আমাদের জন্য ভালো।