বাম আমলের ‘চিরকুটে চাকরির পর্দা ফাঁস’ করতে মমতা নেবেন সিদ্ধান্ত? হাসছে CPIM !

রাজ্যর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, চিরকুট (Chirkut Job) দিয়ে লোক ঢোকানো যায় না। চাকরি হয়নি। হওয়া সম্ভব নয়। একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অবস্থানের বিপরীতে ফিরহাদের অবস্থান নিয়ে হাসছে CPIM!

Mamata Banerjee and Firhad Hakim at an event

রাজ্যর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দাবি, চিরকুট (Chirkut Job) দিয়ে লোক ঢোকানো যায় না। চাকরি হয়নি। হওয়া সম্ভব নয়। একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অবস্থানের বিপরীতে ফিরহাদের অবস্থান নিয়ে হাসছে CPIM! আর রাজ্যে গত বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি হতো বলে আগেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি প্রমাণে চ্যালেঞ্জ করেছেন বাম নেতারা। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত তৃ়ণমূল কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের দাবি চিরকুটে চাকরি হতো।

কে ঠিক? মমতা নাকি ফিরহাদ নাকি উদয়ন গুহ তাই রীতিমতো চর্চিত। কারণ মন্ত্রী উদয়ন গুহ নিজে বলছেন, তাঁর পিতা তথা বাম সরকারের কৃষিমন্ত্রী কমল গুহ নিয়োগে হস্তক্ষেপ করতেন। তবে টাকা নিয়ে কিছু করেননি। আর সিপিআইএম নোতারা বলছেন, অভিযোগ প্রমাণ করুক তৃণমূল সরকার।

নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শাসক দল তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের কয়েকজন জেলে আছেন। এর পরেই লাগাতার কটাক্ষের মুখে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেই দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

সোমবার দুপুরে নবান্নে হতে চলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। এই বৈঠকে বাম আমলের চিরকুটে চাকরি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মমতার মন্ত্রিসভা? নজর রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের খবর, বাম আমলের চিরকুটে নিয়োগ নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য নেতারা এই মুহুর্তে জেলে রয়েছেন। একের পর এক তৃণমূলের নেতাদের নাম যখন জড়াতে শুরু করেছে, তখন বাম আমলে চিরকুটে চাকরির প্রসঙ্গ উঠে আসছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি পাওয়ার প্রসঙ্গটি টেনে ইতিমধ্যেই বিতর্ক উস্কে জানিয়েছেন, তদন্ত হবে কি না, সেটা ঠিক করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী৷ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সুজন পত্নী। তাঁর কথায়, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হোক। কেউ সুপারিশ করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হোক। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, অভিযোগ থাকলে মামলা ঠুকুন।