SSC Scam: তিন হাজার কোটি দুর্নীতি হয়েছে, দাবি শুভেন্দুর

স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার করল সিবিআই৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এই…

Suvendu-Adhikari-nandigram

স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার করল সিবিআই৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) এই প্রথম গ্রেফতার করল সিবিআই। তা নিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, এই পুরো কমিটিটাই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত৷ সিবিআই কী করবে আমি জানি না। কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরকে বাগের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়েছে। সেই রিপোর্ট পাবলিক ডোমেনে এসেছে। সেই রিপোর্ট দেখলে বুঝতে পারবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার আপ্ত সহায়ক এবং কমিটির প্রত্যেকেই শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের বঞ্চিত করার বিনিময়ে ৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত৷ আমি তথ্য দিয়ে বলেছি ১১ থেকে ২১ অবধি ৭৫ হাজার নিয়োগ হয়েছে৷ এর মধ্যে ৫০ হাজার বিক্রি হয়েছে। এমনকি স্কুল সার্ভিস কমিশনে আবেদন না করেও চাকরি পেয়েছেন অনেকেই৷

   

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তোপ দাগতে পিছপা হননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক৷ তিনি বলেন, এটা হিমশৈলের চূড়ামাত্র৷ এটা ৩ হাজার কোটি টাকার স্ক্যাম। এই স্ক্যামের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্য যাকে তিনি রাজনৈতিকভাবে গড়ে তুলতে চান, তার র‍্যাকেট সম্পূর্ণভাবে যুক্ত৷ এই দালাল চক্রের লোকগুলোকে সিবিআই, ইডির ধরা উচিত৷ যারা নাম সংগ্রহ করেছেন টাকা তুলেছেন, তাঁদের ধরা উচিত সিবিআইয়ের।

এর আগে একাধিকবার নিজাম প্যালসে প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির সমস্ত সদস্যদের তলব করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল৷ একাধিকবার তাঁদের হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি খতিয়ে দেখার জন্য তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল সিবিআই৷ কিন্তু বার বার তাঁদের বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছিল৷ এরপরেই বুধবার দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করল সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে খবর, দুই জনের কাছ থেকে সিবিআই জানতে চায় এই কমিটি কাদের নিয়ন্ত্রণে চলত? কমিটির সঙ্গে কারা যুক্ত ছিল? কিন্তু দুই জনের বক্তব্যে অসঙ্গতি মিলতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ, তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আগামীকাল তাঁদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই।