দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির দুই সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার করেছে (CBI) সিবিআই৷ শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের এই প্রথম গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। দু’জনকে গ্রেফতারের পর ফের রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সিপিআইএম রাজ্যসভার সাংসদ দুঁদে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
কলকাতা ২৪x৭ কে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এই যে দুই জন গ্রেফতার হয়েছে শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহা, এরা তো নির্দেশ পালন করেছে৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, সেই কমিটির সদস্য ছিলেন, নির্দেশ পালন করেছেন৷ এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঠিক আছে৷ কিন্তু আসল গ্রেফতার করতে হবে যার নির্দেশে এই কমিটি তৈরি হয়েছিল৷ রাজ্য সরকারের যিনি প্রধান, তার নির্দেশ ছাড়া এধরনের একটি কমিটি গঠিত হতে পারে না৷ শিক্ষা মন্ত্রী কমিটি তৈরি করেছেন। এটা মুখ্যমন্ত্রী জানেন না এটা হতে পারে না”।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কমিটি তৈরি হয়েছে৷ পার্থবাবু হেফাজতে রয়েছে৷ এখন দুই কমিটি সদস্য হেফাজতে গিয়েছেন৷ তারাও যারা এই দুর্নীতি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। যার সিদ্ধান্তে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল, এ রাজ্যের প্রধান মক্ষিরানি। তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে”৷
বিকাশবাবু বলেন “তাঁদের গ্রেফতার না করলে সঠিক তদন্ত করে সঠিক তথ্য উদঘাটিত হবে না৷ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার যে পরিকল্পনা হয়েছিল, সেই পরিকল্পনার উৎসমূখ হল নবান্ন৷ সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত। আশা করব সিবিআই দ্রুত তদন্ত করে মক্ষিরানিকে হেফাজতে নিয়ে প্রশ্ন করবেন”৷
আরও পড়ুন কেন রসগোল্লা আতঙ্ক ছড়িয়েছে তৃণমূলের ভিতরে:
TMC: যদি সিপিএমের বিকাশবাবু আইনি পথ নেন…তৃণমূলে ‘রসগোল্লা আতঙ্ক’
শিক্ষাক্ষেত্র ও বিভিন্ন নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি কালো টাকা লেনদেনে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিয়েছে ইডি৷ আদালতের নির্দেশে কারাবাসে রয়েছেন তিনি। আইনজীবীদের মতামত এই দুর্নীতিতে আগামী দিনে আরও অনেকের গ্রেফতারির সম্ভাবনা বাড়ছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত দুই উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে সিবিআই জানতে চায় এই কমিটি কাদের নিয়ন্ত্রণে চলত? কমিটির সঙ্গে কারা যুক্ত ছিল? কিন্তু দুই জনের বক্তব্যে অসঙ্গতি মিলতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ, তদন্তকারী অফিসারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই।