নিয়োগ নিয়ে ছেলেখেলা সামাজিক অবক্ষয়ের হাতছানি

দুর্নীতিতে যুক্ত কাউকে রেয়াত নয়। প্রয়োজন পড়লে অভাবনীয় পদক্ষেপ নেবো৷ এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই…

TET_job

দুর্নীতিতে যুক্ত কাউকে রেয়াত নয়। প্রয়োজন পড়লে অভাবনীয় পদক্ষেপ নেবো৷ এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ আগামী দিনে অকল্পনীয় পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে৷ সূত্রের খবর, যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে কয়েক হাজার জন চাকরি হারাতে পারেন৷ আবার নতুন করে নিয়োগ হতে পারে মেধাতালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীদের।

দীর্ঘ সময় ধরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছেন হবু শিক্ষকরা৷ এর মধ্যে কেউ প্রাথমিক শিক্ষক পদে মেধাতালিকাভুক্ত। আবার কেউ এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর তালিকাভুক্ত৷ বিচারের আশায় চাতক পাখির মতো তারাও মাসের পর মাস বসে রয়েছে। কিন্তু সরকারের সদর্থক ভূমিকা এখনও দেখা যায়নি৷ বাধ্য হয়ে নিজেরাই স্লোগান তুলছেন বারবার। এখন আদালতের নির্দেশে তারাই সুদিনের অপেক্ষা করছেন৷ আশা করছেন দ্রুত সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে৷

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির কারণে অযোগ্য যারা, যাদের নিয়োগ হয়ে বেআইনিভাবে তাদের জন্য কী হবে? সম্প্রতি ২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় ঝাড়াই বাছাই পর্ব শুরু হয়েছে আদালতের নির্দেশে। ১৩ হাজারের মধ্যে কাদের চাকরি বাতিল হতে চলেছে তা নিয়ে কৌতুহল থাকলেও বাড়ছে আতঙ্ক। একইসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে সিবিআইয়ের রিপোর্ট জমা পড়েছে। যা দেখে বিচারপতির মন্তব্য, চুড়ান্ত বেনিয়ম হয়েছে। যা জনসমক্ষে এলে শিহরণ ফেলে দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এহেন মন্তব্যের পরেই শুক্রবার নির্দেশ দিলেন প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রায় ৬০ হাজার জনের শিক্ষক পদে নিয়োগ তালিকা খতিয়ে দেখার জন্য। অর্থাৎ আদালতের অনুমান এখানেও দুর্নীতি হয়েছে। এখন অযোগ্য প্রার্থী কারা? সেটাই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার ফলে কয়েক হাজার কর্মরত শিক্ষক চাকরি হারাতে পারেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। শুধুমাত্র শিক্ষক পদে নিয়োগ নয়, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও চুড়ান্ত বেনিয়ম হয়েছে। যারা ফলে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে একটা গোটা প্রজন্ম। কেউ রয়েছেন বিচারের আশায়, আবার কেউ চাইছেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের আশায়। কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, আবার কেউ নম্বর কম পাওয়ার পর বেআইনিভাবে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছেন। এর ফলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় আসতে চলেছে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।