গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জের, তাপমাত্রা বেড়ে বরফ গলছে হিমালয়ে

নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। গত কয়েক দশক ধরেই বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে গড় তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। দুই মেরুর বরফ গলার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে জলস্তরও।…

নিউজ ডেস্ক: চিন্তা বাড়াচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। গত কয়েক দশক ধরেই বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে গড় তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। দুই মেরুর বরফ গলার ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে জলস্তরও। এবার আবার নতুন করে চিন্তা বাড়াল আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (আইপিসিসি) রিপোর্ট।

আরও পড়ুন হাতের নাগালে সস্তার পেট্রোল-ডিজেল ভুটানে, হাত কামড়াচ্ছেন বাংলার চালকরা

সাতের দশক থেকে হিন্দুকুশ হিমালয়ে উষ্ণায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটা। বিশ্বের অন্যতম উঁচু পর্বতমালা থেকে অনেক গুণ বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে এই অঞ্চলে। তার জেরে বরফ গলার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে শুধু জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়াই নয়, হিমালয় থেকে আসা নদীগুলির অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে। ষষ্ঠ আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের (The Intergovernmental Panel on Climate Change) রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

The IPCC special report on 1.5°C: key takeaways for PRI signatories | News  and press | PRI

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্য়াল মেটেরোলজি, পুনের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আর কৃষ্ণণ বলেছেন, “হিন্দুকুশ হিমালয়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হিমবাহ গলার পরিমাণ বাড়ছে। ফলে তা সমভূমিতে বাহিত হওয়ার ফলে জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও উল্টোদিকে তিব্বতীয় মালভূমি অঞ্চলে কারাকোরাম হিমালয়ে তাপমাত্রার তারতম্য ততটা লক্ষ্যণীয় হয়নি। কারাকোরাম হিমালয়ে হিমবাহের বরফের ঘনত্ব বরং বেড়েছে।”

আরও পড়ুন চলতি বছরে বিশ্বজুড়ে সাতটি ভয়াবহ বিপর্যয়

কিন্তু আন্তঃসরকার জলবায়ু পরিবর্তন প্যানেলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হিন্দুকুশ হিমালয় এবং তিব্বতীয় মালভূমিতে আরও বরফ গলবে। এই হিমালয় পর্বতমালা সমভূমি এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা, সমুদ্রের জলস্তরের নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভারতবর্ষে প্রতি বছর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয়, তাতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় উত্তরের সুবিশাল হিমালয় পর্বতমালা। ফলে হিমালয়ের বরফ গলায় দেশের জলবায়ুতেও পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।”

Greenhouse Effect | National Geographic Society

আইপিসিসির পূর্বাভাষ অনুযায়ী আগামী শতক অর্থাৎ ২১০০-এর মধ্যে গড়ে ২ ডিগ্রির বেশি বাড়বে পৃথিবীর তাপমাত্রা। ফলে অবিলম্বে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন রোধে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইপিসিসি। বর্তমানে শিল্পায়নের যুগ চলছে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে। ফলে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ রোধ করা খুব একটা সহজ হবে না বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞমহলের।