BJP: বিজেপি রাজ্য দফতরে যেন ‘হনুমান তান্ডব’, লাফ মেরে লাথি সমর্থকদের

বঙ্গ বিজেপির নেতারা হাওয়া। তারা জানেন বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের সামনে পড়লে কী ভয়াবহ পরিণতি হবে। আর বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা তীব্র আক্রোষে দলেরই রাজ্য দফতরে লাফ মেরে ঢুকে…

বঙ্গ বিজেপির নেতারা হাওয়া। তারা জানেন বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের সামনে পড়লে কী ভয়াবহ পরিণতি হবে। আর বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা তীব্র আক্রোষে দলেরই রাজ্য দফতরে লাফ মেরে ঢুকে লাথি মারছেন। দলীয় নেতাদের ছবিতে লাথি মেরে চলেছেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কই বলে চিৎকার চলছে। বৃহস্পতিবার যেন মুরলিধর সেন লেনের BJP রাজ্য দফতরে এই অবস্থা। কয়েকজন নেতার আক্ষেপ, অফিসে যেন হনুমান তাণ্ডবে চলছে।

বুধবার সল্টলেকের বিজেপি দফতরে চলে বিক্ষোভ। উত্তর ২৪ পরগনার নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভের আঁচ এবার কলকাতায় রাজ্য দফতরে। এছাড়াও একাধিক জেলার নেতাদের নিয়েও কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র।

দলের মধ্যেই বড় ফাটল। ধস পদ্মফুল শিবিরে। মুরলিধর সেন লেনে বিজেপি কার্যালয়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মীরা এখানে এসেছেন। এবং তারা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। সেখানে অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, সুকান্ত মজুমদার, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক রাজ্য নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। এবং তারা দাবি করছেন রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই তদন্ত।

এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, ‘ বিশেষ করে অমিতাভ চক্রবর্তীকে ৬ দিনের মধ্যে ছাড়তে হবে। আমরা লাগাতার এখানে অবস্থান-বিক্ষোভে বসব। দরকার হলে আমরা দিল্লি পর্যন্ত যাব। আমরা বহুবার চিঠি দিয়েছি। দরকার হলে সংঘ অফিসেও আমাদের একটি টিম বসবে। কেশব ভবনের কিছু লোকের ইন্ধনে এই কর্মকাণ্ড চলছে ‘।

বিভিন্ন জেলা থেকে বহু কর্মীরা এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। কেউ বীরভূম কেউ বা বসিরহাট থেকে এসেছেন। অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, সুকান্ত মজুমদার এর পাশাপাশি জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করছেন। তারা দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই তদন্ত হোক।

এমনকি দিল্লির কেন্দ্রীয় দফতরে পর্যন্ত তারা চিঠি পাঠায়। প্রয়োজনে তারা ধর্নায় বসবেন এমনটাও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কারণ এখানে বহু বিজেপি কর্মী রয়েছেন যারা বিজেপি করার সময় তাদের ওপর বহুবার হামলা হয়েছে। ভিড় থেকে এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, ” ২০১৯ সালে আমি এবং আমার ভাই রাজনীতিতে এসেছি। কিন্তু আমার ভাই সন্ত্রাসের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তবে আজ পর্যন্ত আমরা এর কোনও সুবিচার পাইনি”।