Bishnupad Roy: চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতিতে বিজেপি বিধায়কের মৃত্যু, অভিযোগে বিতর্ক

আজ, মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন ধুপগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় (Bishnupad Roy)। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভোগার পর শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না।

Bishnupad Roy

আজ, মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন ধুপগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় (Bishnupad Roy)। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভোগার পর শুক্রবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়। অবশেষে শেষ রক্ষা হলো না। বিজেপি ও তার পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালের গাফিলতির দায়ে তার মৃত্যু। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক বিদ্বেষ তুঙ্গে।

প্রয়াত বিধায়কের ছেলের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরেই তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। সে জানিয়েছে, ” আমরা অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে এসেছি। যখন আমাকে সবাই খবর দেয় যে বাবার শরীর খুবই খারাপ। তখন আমরা সকালে এসে এত ঝা চকচকে বিল্ডিং দেখে অবাক হই যে, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এত ভালো হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। কিন্তু তারপরে যা ঘটলো সেটা আমরা মেনে নিতে পারছি না”।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: কলকাতায় প্রয়াত ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক, অভিযোগ ‘হাসপাতালে জোটেনি কম্বল’

এর সঙ্গে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করে আরো বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ আমার কাছে ফোন যায় যে তাকে সিটি স্ক্যানের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা উপরে গিয়ে দেখতে পাই তিনি রীতিমত ঠান্ডায় কাঁপছেন। একটা কম্বল পর্যন্ত কেউ দেয়নি। শুধুমাত্র একজন অ্যাটেনডেন্ট ছিল। আমি এবং বাবার সিকিউরিটি মিলে তাকে সিটি স্ক্যান করার ঘরে নিয়ে যাই। কোথাও গিয়ে আমাদের মনে একটা মানবিকতার প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

অন্য এক বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, উনি রবিবার তিনটের পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ডাক্তারদের সঙ্গে কথা হয়েছিল আমাদের। তারা বলেছিলেন একটি বোর্ড গঠন হবে কি কি সমস্যা হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখবে তারা। এরপরে একটু স্টেবল ছিল উনি তাই আমরা ডাক্তারদের উপর ভরসা করেছিলাম। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলাম না।

এখানেই বারংবার প্রশ্ন উঠছে যে কলকাতার বুকে এত বড় ঝা চকচকে হাসপাতাল। তবে তার চিকিৎসা ব্যবস্থায় এত গাফিলতি। প্রতিনিয়ত একের পর এক অভিযোগ উঠছে এই পিজি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

হাসপাতালের আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে হাজার হাজার মানুষ। তবে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তিরা টাকার বিনিময় ডাক্তার দেখানোর সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় রোগীদের। টাকা না দিলে ডাক্তারের কাছে যেতে দেওয়া হয় না। বন্ধ করে দেওয়া হয় গেট।

এছাড়াও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিভিন্ন রোগীদের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একের পর এক গাফিলতি করে যায়। যার ফলে প্রাণ হারাতে হয় বহু মানুষকে। সঠিক সময় মেলে না চিকিৎসা। অভিযোগ করলেও ফলস্বরূপ কিছুই হয় না। এবার ফের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে সরগরম হয়ে উঠেছে পিজি হাসপাতাল।