Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে বেকসুর খালাসের রায় দিল আদালত

আদালতে বেকসুর খালাস কেষ্ট। তৃণমূলে (TMC) উল্লাস। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal) বেকসুর খালাস ঘোষণা করল বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। ২০১০ সালে…

anubrata mondal

আদালতে বেকসুর খালাস কেষ্ট। তৃণমূলে (TMC) উল্লাস। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal) বেকসুর খালাস ঘোষণা করল বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত।

২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) মঙ্গলকোটে (Mongolkot)  রাজনৈতিক হামলার ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডল সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণের অভাবে খালাস করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তার প্রতিপক্ষ কাজল শেখ (Sekh Kajal) সহ একাধিক তৃ়ণমূল নেতাক। সকলকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করে আদালত।

২০১০ সালে মঙ্গলকোটে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণ আহত হন বেশ কয়েকজন। বিস্ফোরণ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডল ও কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ সহ ১৫ জনের। এরই মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলকোটের সেই বিস্ফোরণের মামলায় আদালতে চলতি মাসের ১ তারিখে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এদিন অনুব্রত এবং তাঁর সহযোগীদের সবকটি মামলা থেকে অব্যহতি দিল বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত।

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, মঙ্গলকোটের একটি মামলায় আমাদের ১৫ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা হয়েছিল। আদালত আজ সকলকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে। তাঁর আইনজীবী বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। সকলকে খালাস করে আদালত।

এমনিতেই গোরু পাচার মামলায় আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি অনুব্রত। শুক্রবার সকালে তাকে আসানসোল জেল থেকে বিধাননগর এমপি এমএলএ আদালতে নিয়ে আসা হয়। গোরু পাচার মামলায় ১১ অগাস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ জড়ো করতে শুরু করে সিবিআই আধিকারিকরা।

এর মাঝে শুক্রবার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দলের কর্মীদের বার্তা দেন কেষ্টকে বীরের মতো জেল থেকে নিয়ে আসতে হবে। তাতেই কিছুটা অক্সিজেন পান তিনি।

মমতার বার্তা পেয়ে অনুব্রত জেলে তো কেউ থাকে না। একদিন ছাড়া পাব৷ গোরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত আরও অনেকটা কনফিডেন্ট৷ কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেষ্ট ছাড়া পাবে৷ তাই আজ কেষ্ট নিজেই বলে উঠলেন জেলে কন্টিনিউ কেউ থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চয়ই ছাড়া পাব।