হানাদার বাবরের নামে ভারতে রাস্তা কেন, প্রশ্ন তোলা অপরাধ: গর্গ

সোমবার রাম মন্দির উদ্বোধন। দেশ জুড়ে ভক্তদের উৎসাহ। কোথাও কোথাও আবার বাবরি মসজিদ ধংসের স্মৃতি। চাপা দুঃখ। এরই মাঝে বিত্রক উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের…

সোমবার রাম মন্দির উদ্বোধন। দেশ জুড়ে ভক্তদের উৎসাহ। কোথাও কোথাও আবার বাবরি মসজিদ ধংসের স্মৃতি। চাপা দুঃখ। এরই মাঝে বিত্রক উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।

ভারতে মোঘল সাম্রাজ্যের যাত্রা শুরু হয় বাবরের হাত ধরে। তাঁর জমানায় অযোধ্যায় কয়েকটি মন্দিরের মাঝে মসজিদ তৈরি হয়। মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে সেই বিতর্কে যাননি বাংলাপক্ষের প্রধান গর্গ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন বাবর সম্পর্কিত অন্য বিষয়ে।

শনিবার বাবর সম্পর্কিত দু’টি প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপক গর্গ। দুই প্রশ্নই আবার আইনি। গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘উজবেকিস্তান থেকে আসা বাবরকে কি উজবেক হানাদার বলা যায়?’ বাবরের নামে দিল্লিতে রাস্তা আছে। বাবর রোড লেখা নেমপ্লেটও আছে। আর এ নিয়েই গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় প্রশ্ন, ‘ভারতীয় করদাতাদের টাকা কেন উজবেক আক্রমণকারীর স্মৃতিতে ব্যয় করা হয়েছে?’

এই দুই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলেও এটা অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের মূল উদ্দেশ্য আলাদা। তাঁর দুই আইনি প্রশ্ন আছে। তা হল, ‘বাবর দুই প্রশ্ন তোলা কি অপরাধ?’ শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই দুই প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।

বিজেপির নেতাকর্মীরা বাবরকে হানাদার বলে কটাক্ষ করে থাকেন। কিন্তু বিজেপি বিরোধী হয়ে বাবর নিয়ে কেন এই ধরনের প্রশ্ন তুললেন বাংলাপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়? অনেকেই মনে করছেন এর পিছনে আছে অসমের ঘটনা। ২০২০ সালের মাঝামাঝি অহম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চাউলুং চুকাফাকে চিনা হানাদার বলে কটাক্ষ করেন গর্গ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে অসম রাজ্য সরকার। গর্গ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন অসমের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। সেই মামলা এখনও চলছে।