KK Death: কেকে’র মঞ্চে দমবন্ধ পরিবেশ যেন ‘অন্ধকূপ হত্যা’ পুনরাবৃত্তি, বিস্ফোরক শতরূপা সান্যাল

সঙ্গীত শিল্পী কেকে’র (KK) প্রয়াণে শোকাতুর পরিবেশ ছাপিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ, অব্যবস্থাপনা সবকিছু আরও বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান পরিস্থিতি যে দমবন্ধকর ছিল…

Actress Satarupa Sanyal has made explosive comments about the death of playback singer KK

সঙ্গীত শিল্পী কেকে’র (KK) প্রয়াণে শোকাতুর পরিবেশ ছাপিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ, অব্যবস্থাপনা সবকিছু আরও বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান পরিস্থিতি যে দমবন্ধকর ছিল তা স্পষ্ট। আয়োজক, বিশৃঙ্খল পরিবেশ নিয়ে বিস্ফোরক চলচ্চিত্র পরিচালক শতরূপা সান্যাল (Satarupa Sanyal)।

অব্যস্থাপনা ও নজরুল মঞ্চের কর্মীদের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন শতরূপা সান্যাল। তিনি লিখেছেন, “কে দায়ী এই মৃত্যুর জন্য?” সঙ্গীত শিল্পী কেকের মৃত্যুকে অন্ধকুপ হত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।

শতরূপা সান্যাল লিখেছেন, “একজন শিল্পী যখন অনুষ্ঠান করছেন, তখন ইচ্ছাকৃত ভাবে এসি বন্ধ করে দেওয়া কোন ধরনের নিয়ম? কারা এ সব নিয়মের রচয়িতা? ইতিহাসে ” অন্ধকূপ হত্যা” একটি ঘৃণ্য ঘটনা। তারই পুনরাবৃত্তি দেখি বারবার । এতগুলো লোক একটা বদ্ধ ঘরে থাকলে, তার যথোপযুক্ত ভেন্টিলেশন লাগবেই! এটা না বোঝার মত অশিক্ষিত কি এই আমোদপাগল দর্শক ও আয়োজকরা?নজরুল মঞ্চ তো একটি প্রতিষ্ঠিত পরিচিত, বহু অনুষ্ঠানের সাক্ষী একটি মঞ্চ। বহু মানুষের উৎকট উচ্ছাস কি এই প্রথমবার ঘটলো সেখানে? নিশ্চয়ই না।

শুনলাম, জায়গার তুলনায় বেশি মানুষ ঢুকে পড়েছিল সেখানে, মঞ্চের ওপরও নাকি বহু মানুষ উঠে পড়েছিল! আমি জাস্ট ভাবতে পারছিনা, কি ধরনের ” ছাত্রছাত্রী” এরা! স্বাভাবিক শিষ্টতাটুকুও কি এরা শেখেন নি?

কে কে‘র মৃত্যুর জন্য শুধু এই বিশৃঙ্খল আয়োজন, উশৃঙ্খল দর্শক নয়, নজরুলমঞ্চের কর্মীরাও সমান দায়ী। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি ও শুনেছি, মঞ্চের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা বহু সময়ই লাইট ফ্যান নিভিয়ে দেন, এসি বন্ধ করে দেন। কারণ, সময় পেরিয়ে গেছে, তাদের বাড়ি ফিরতে হবে। তাড়া আছে! গতকালও নাকি এই মহান কার্যটি করেছিলেন তাঁরা!

এই অমানবিক কার্যটি কলকাতা শহরে স্বাভাবিক ঘটনা। অনুষ্ঠানের সময়সীমা নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে, মঞ্চ রক্ষকদের কাছে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা কাকুতিমিনতি করতে থাকেন, যেন চুরির দায়ে ধরা পড়েছেন!
আরো একটা কথা বলার আছে। অনুষ্ঠান শেষে সেলিব্রিটি শিল্পীর সাথে সেল্ফি তোলার হিড়িক ও শিল্পীর ক্লান্তিকে অগ্রাহ্য করাটা দর্শকদের হক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্পী যে একজন মানুষ, তাঁরও শরীর-ক্লান্তি-বিরক্তি-খিদেতেষ্টা আছে, সেটা যারা বোঝেন না, তাঁরা শিল্পীর অমর্যাদাই করেন। হামলে পড়ে ঘিরে ধরে শিল্পীর প্রতি যেটা করা হয়, সেটা আদেখলেপনা, ভালোবাসা নয়।
কেকে‘র মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রতিটি অমানবিক অবিমৃষ্যকারীর প্রতি আমার ধিক্কার জানালাম।

শতরূপা সান্যালের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক আরও বাড়ল। কারণ, কেকে’র অনুষ্ঠান চলাকালীন অগনিত শ্রোতা ও দর্শকদের উপস্থিতিতে এসি বন্ধ করা হয়।