Covid 19: ভারতে করোনায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা চারগুণ বেশি, হু বার্তায় মোদীর অস্বস্তি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে উদ্বেগে ফেলে স্পষ্ট জানাল, ভারতে করোনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা সরকারের দেওয়া হিসেবের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। মোদী সরকারের দাবি,…

WHO Numbers May Raise India's Covid Deaths

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নরেন্দ্র মোদী সরকারকে উদ্বেগে ফেলে স্পষ্ট জানাল, ভারতে করোনায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা সরকারের দেওয়া হিসেবের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। মোদী সরকারের দাবি, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ লাখ ২১ হাজার ২৬৪ জন।

বিভিন্ন দেশে করোনায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা কত তার একটি তালিকা চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ করতে চলেছে হু। সেই তালিকায় সবার উপরেই থাকতে চলেছে ভারতের নাম।

   

বিভিন্ন দেশের সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনায় যে তিনটি দেশে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সেগুলি হল আমেরিকা, ব্রাজিল ও ভারত। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, ভারতে হিসাব বহির্ভূত মৃতের সংখ্যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি। বিশেষ করে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় ভারতে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার কোনও হিসাবই নথিভূক্ত করা হয়নি। হু-র ওই রিপোর্টে নাকি বলা হতে চলেছে যে, ভারতে করোনায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশিত হিসাবের চারগুণ।

করোনা ভাইরাস এখনও পৃথিবী থেকে মুছে যায়নি। বরং এর আরও এক ভয়ঙ্কর রূপ খুব শীঘ্রই গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটি এক্স ই (xe) নামে পরিচিত। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ-২-এর চেয়ে কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি সংক্রামক। এক সতর্ক বার্তায় এমনটাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশেষজ্ঞরা এতদিন বিএ-২-স্ট্রেনটিকেই করোনার সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু বিএ-২ কে ছাপিয়ে যাবে এক্স ই ভ্যারিয়েন্ট এমনটাই জানিয়েছে হু।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের আবহাওয়াকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে বিএ-২। এই ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে আমেরিকায়। তবে এই বিএ-২-স্ট্রেনকেও নাকি ছাপিয়ে যাবে এক্স ই। হু স্পষ্ট জানিয়েছে, করোনার সবচেয়ে সংক্রামক স্ট্রেন হবে এক্স ই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের দুটি ভ্যারিয়েন্ট বিএ-১ এবং বিএ-২ সম্মিলিত হয়েই তৈরি হয়েছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট এক্স ই। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া যায়। এই ভাইরাস ওমিক্রনের বিএ-২-র তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক। গোটা বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণে এলেও হু-র এই নতুন সতর্কবার্তা ফের সকলকেই উদ্বেগে ফেলেছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ৩১ মার্চ মধ্যরাত থেকেই দেশে করোনাজনিত সব ধরনের বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে মাস্ক আর বাধ্যতামূলক নয়। দৈনিক সংক্রমণ ও অ্যাকটিভ কেস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মৃত্যুহার এখনও স্বাস্থ্যমন্ত্রক কে উদ্বেগে রেখেছে।

শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন থেকে জানা গিয়েছে, ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬০ জন। এই মুহূর্তে গোটা দেশে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১৩৪৪৫ জন। কিন্তু শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনার বলি হয়েছেন ৮৩ জন মানুষ। যা শুক্রবারের তুলনায় ৩১ জন বেশি। মৃতের সংখ্যাই বলে দিচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও মানুষকে আরও সতর্ক হয়েই পথ চলতে হবে।