Patient Bitten By Rats: ইঁদুরের কামড়ে মৃত রোগী, হাসপাতালে আতঙ্ক

সরকারি হাসপাতালে পরিষ্কার- পরিছন্নতা নিয়ে নিয়মিতই অভিযোগ ওঠে। ওয়ার্ডের যত্রতত্র কুকুর-বেড়াল ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ইঁদুরের (Rats) কামড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে প্রাণ গেল…

Patient Bitten By Rats In Telangana MGM Hospital ICU Dies

সরকারি হাসপাতালে পরিষ্কার- পরিছন্নতা নিয়ে নিয়মিতই অভিযোগ ওঠে। ওয়ার্ডের যত্রতত্র কুকুর-বেড়াল ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ নতুন কিছু নয়। ইঁদুরের (Rats) কামড়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে প্রাণ গেল এক রোগীর। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গালের এমজিএম হাসপাতালের রেসপিরেটরি কেয়ার ইউনিটে।

সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইঁদুরে কামড়ানোর কথা স্বীকার করলেও সেই কারণেই যে রোগীর মৃত্যু হয়েছে তা মানতে নারাজ। যদিও ওই হাসপাতালের একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্য দফতর।

মৃত ব্যক্তির নাম শ্রীনিবাস। রোগীর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২৫ মার্চ শ্রীনিবাসকে এমজিএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ মার্চ রাতে শ্রীনিবাসের পায়ে ইঁদুর কামড়ায়।বৃহস্পতিবার সকালে ওই ব্যক্তির দেখভালের দায়িত্বে থাকা পরিচারক দেখেন রোগীর পায়ের পাতা ও গোড়ালি থেকে অঝোরে রক্ত বের হচ্ছে। ভিজে গিয়েছে গোটা বিছানা।

মৃতের ভাই শ্রীকান্ত জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন অসুস্থতার কারণেই দাদার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন ইঁদুর কামড়ে দেওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। সে কারণেই তাঁর দাদার মৃত্যু হয়েছে। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করে শ্রীনিবাসের পরিবার।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য শ্রীনিবাসকে ইঁদুরের কামড়ের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, শ্রীনিবাসের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হায়দরাবাদের এনআইএমএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। অন্যদিকে এনআইএমএস- এর ডিরেক্টর কে মনোহর জানিয়েছেন, শ্রীনিবাস ছিলেন মদ্যপায়ী। মৃত শ্রীনিবাসের শরীরে একাধিক অসুখ ছিল। সে কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ইঁদুরের কামড়ে নয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই শ্রীনিবাসের মৃত্যু হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, যদি ইঁদুরের কামড়ে মৃত্যু না হয়ে থাকে তাহলে তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্য দফতর এমজিএম হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি মনোহর।