রাম-রাজ্যে বড়সড় শক্তি দেখাল বাম-শরিক সিপিআইএম

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ত্রিপুরায় (Tripura)। এই অবস্থায় সংগঠন মজবুত করতে আসরে নেমেছে সবপক্ষ। শাসক হিসেবে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আবার বিজেপির সরকারের…

CPIM held a big meeting in Tripura under the leadership of Manik Sarkar

বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ত্রিপুরায় (Tripura)। এই অবস্থায় সংগঠন মজবুত করতে আসরে নেমেছে সবপক্ষ। শাসক হিসেবে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আবার বিজেপির সরকারের মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মনকে দলে টেনে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস। এরই মাঝে রাজধানী আগরতলার শক্তি দেখাল বর্তমান বিরোধী দল সিপিআইএম (CPIM)।

শনিবার আগরতলায় ত্রিপুরা তপশিলী সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে জনসভার আয়োজন করা হয়। বামপন্থী ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে দিন ‘প্রতিশ্রুতি খেলাপি’ বিজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। আগরতলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে সুবিশাল মিছিল। লাল ঝান্ডা হাতে ওই মিছিলের বহর ছিল চোখে পড়ার মতো। আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন চত্বরে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্র মানিক সরকার।

CPIM held a big meeting in Tripura under the leadership of Manik Sarkar

টানা আড়াই দশকের বাম শাসনের মধ্যে কুড়ি বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিরোধী নেতা হয়ে রাস্তায় আছেন। কিন্তু সিপিআইএমের অন্দরেই জল্পনা, মানিকবাবুর নেতৃত্ব যুব সমাজের কাছে আর গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মানিককে বাদ দিতেও পারছে না তাঁর দল। সবমিলে আড়কাঠে পড়েছে রাজ্যের বিরোধী দল।

এদিনের জমায়েতে মানিক সরকার ছাড়াও ভাষণ দেন, বিধায়ক সুধন দাস, রতন ভৌমিক এবং ত্রিপুরা সিপিআইএম-র রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধূরী। সকলের বক্তব্যেই উঠে এসেছে গত চার বছরের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার খতিয়ান। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি পালনে বিপ্লব কুমার দেব পরিচালিত সরকারের ব্যর্থতার কথা।

জীতেন্দ্র চৌ়ধুরীরকে রাজ্য সম্পাদকের পদে বসানো মানে টাফ মুখ সামনে আনা। এমনই ধারণা, ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে। কারণ মানিকবাবু ততটা টাফ নন বলেই সিপিআইএমের জেলা ভিত্তিক নেতাদের ধারণা। যদিও সততার মাপকাঠিতে সিপিআইএমের পলিট ব্যুরো সদস্য মানিক সরকার দেশজুড়ে আলোচিত।

<

p style=”text-align: justify;”>দিন কয়েক আগে শেষ হয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে অনেক আগে থেকেই সরব ছিল বামেরা। সেই নিয়ে বিধানসভায় জবাব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল শাসক বিজেপি-আইপিএফটি জোট। যদিও সেই জবাব শোনা দূরের কথা, অনেক আগেই বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বাম বিধায়কেরা। এরপরে জনসভা থেকে সরকারকে আক্রমণের বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এদিনই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দাবি করেছেন যে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৬০ আসনেই জয়লাভ করবেন বিজেপির প্রার্থীরা।