ন্যাশনাল হেরল্ড মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। আর তা নিয়েই সরগরম দিল্লি। এদিকে বিক্ষোভ দেখানোর জেরে আটক করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।
মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। আটক করা হয় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে।
এদিন কংগ্রেস নেতারা দিল্লির রাজপথে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এদিন জিএসটি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বিক্ষোভ চলার পর কংগ্রেস নেতাদের আটক করে পুলিশ। আটক করা হয় রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদদের।
আটকের পর রাহুল গান্ধী বলেন, ভারত হল পুলিশের দেশ। ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বিজয় চকে বিক্ষোভরত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে কিংসওয়ে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে টুইট করেছেন তিনি। রাহুল টুইটারে লিখেছেন, একনায়কতন্ত্রের দিকে তাকান, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে পারেন না, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। পুলিশ ও এজেন্সির অপব্যবহার করে, এমনকি আমাদের গ্রেফতার করেও আপনি কখনোই আমাদের চুপ করিয়ে রাখতে পারবেন না।
কংগ্রেসের দাবি, এদিন রাষ্ট্রপতি ভবন অবধি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আটকাতে বিক্ষোভে বসেন তাঁরা। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথায়, বাজারের জিনিসপত্রের দামে আগুন। সরকার আলোচনা চাইছে না। সরকার কংগ্রেসের ওপর কমাগত আক্রমণ করে চলেছে। রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীকে অন্যায়ভাবে ইডি অফিসে ডাকা হচ্ছে।