NBU: মমতা সরকারের আমলে শিক্ষা দফতরে বিপুল দুর্নীতি, গোয়েন্দা নজরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

শুধু বিদ্যালয় ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি নয়, অভিযোগ মমতা সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপুল দুর্নীতির হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে।  বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজেগুলির দিকে নজর ঘুরতে চলেছে।…

শুধু বিদ্যালয় ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি নয়, অভিযোগ মমতা সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপুল দুর্নীতির হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে।  বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজেগুলির দিকে নজর ঘুরতে চলেছে। শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি কাণ্ডে এবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (NBU) দিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির নজর পড়তে চলল।

অভিযোগ, গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গে  শিক্ষা দফতর সংক্রান্ত  যত কেলেঙ্কারি হয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় তার শীর্ষে। অভিযোগ,কলকাতা থেকে এনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেত্রীকে। কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় (স্লেট) মেধা তালিকায় ওই নেত্রীর নাম শেষের দিকে ছিল। অভিযোগ, ওই নেত্রীর নাম পিছনের সারিতে থাকলেও তিনি এর মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। সেই সুবাদে তিনি বাকিদের টপকে চাকরি পান। 

শুধু সরকারে থাকা দল তৃণমূল কংগ্রেস ? বিরোধী দল বিজেপিও আতসকাঁচের তলায়। পড়ুন

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

SSC Scam: তৃণমূলের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়াতে পারে বিজেপির

আরও অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক শীর্ষস্তরীয় আধিকারিকের পরিবারের পাঁচ সদস্যকে একইসঙ্গে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ডক্টরেট করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগেই ওই আধিকারিক ওই চাকরিগুলি আদায় করেন বলে উঠে আসছে অভিযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশ বলছেন, এখানে একবার হাত দিলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে। ২০১৬-১৭ সাল থেকে এখানে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এত পরিমাণ অনিয়ম হয়েছে যার শেষ কোথায় কেউ জানে না।

এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর  উত্তরবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাতে তাঁর হাত কতদূর বিস্তৃত ছিল সেই তথ্যও ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে। অভিযোগ, পার্থবাবু ঘনিষ্ঠ শিলিগুড়ির দুই ব্যবসায়ী, একজন ঠিকাদার এবং পরবর্তীতে এক শিক্ষক নেতা এই চক্রে যুক্ত।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেরই খবর, গত চার-পাঁচ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে ভূরিভূরি চাকরি, বদলি এবং পদোন্নতিও হয়েছে। সমস্ত কিছুর পিছনেই পার্থবাবুর প্রচ্ছন্ন মদতের অভিযোগ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা গোটা বিষয়ে নজর রাখছেন। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা শীঘ্রই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন। আর সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে নথিপত্র ঘাঁটতে গিয়ে আরও কত রহস্য প্রকাশ্যে আসবে সেই আশঙ্কাতেই পার্থর এখানকার ঘনিষ্ঠরা সময় গুনছেন।