‘স্যার আমি বৌয়ের মাথা কেটে ওইখানে পুঁতে দিয়েছি…’

‘স্যার ওই দেখুন ওখানে পুঁতে রেখেছি বডিটা। বৌয়ের মাথা কেটে খুন করেছি’-এমনই জানিয়ে দিল ‘খুনি’ স্বামী। তার দেখানো জায়গায় গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার…

‘স্যার ওই দেখুন ওখানে পুঁতে রেখেছি বডিটা। বৌয়ের মাথা কেটে খুন করেছি’-এমনই জানিয়ে দিল ‘খুনি’ স্বামী। তার দেখানো জায়গায় গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করল (Tripura Police) পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই খুনের ঘটনায় আগরতলার বাসিন্দানা কেঁপে গেছেন। খুনের স্বীকারোক্তি দেওয়া কাইয়ুম মিয়ার দাবি, সে তার স্ত্রী তনুজা বেগমকে দু টুকরো করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছিল।

নাবালিকা গৃহবধুর মাথা কেটে নিয়ে দেহ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল স্বামী

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

শুক্রবার দিনভর আগরতলায় নাবালিকা গৃহবধু তনুজা বেগমের নিখোঁজ থাকা ও পরে তার দু’টুকরো দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ত্রিপুরা সহ পুরো দেশে। তদন্তে নেমে আগরতলা পূর্ব থানার পুলিশের ধারণা, তনুজা বেগম খুনের সাথে দিল্লির ‘শ্রদ্ধা খুন’ ঘটনার মিল আছে। তাকেও খুন করে টুকরো টুকরো করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল।

আগরতলার আড়ালিয়া লোকনাথ পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন তনুজা বেগম। শুক্রবার তনুজার নিখোঁজ সংবাদের পর আত্নীয়রা তার শ্বশুরবাড়িতে যান। দেখা যায় ঘরে ও দরজায় রক্ত পড়ে আছে। তনুজার স্বামী কাইয়ুম নেই। তখনই অভিযোগ ওঠে গৃহবধু খুনের। পরে কাইয়ুম মিয়াকে পুলিশ ধরে। জেরায় সে স্বীকার করে স্ত্রীকে কেটে খুন করার কথা। এরপর দাবি করে স্থানীয় হাওড়া নদীর জলে দেহ ভাসিয়ে দিয়েছে।

ধৃত কাইয়ুম মিয়াকে নিয়ে নদীর ধারে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় তার বয়ান মিথ্যে। চাপের মুখে কাইয়ুম পরে জানায় স্ত্রী তনুজা বেহগমের মাথা ও দেহ কেটে বস্তায় পুরে কচুক্ষেতে পু়ঁতে রেখেছে। পরে দেহ লোপাট করার ইচ্ছে আছে। পুলিশের সামনেই কাইয়ুম দেখিয়ে দেয় মৃতদেহ পুঁতে রাখার জায়গা। পুলিশ ওই দেহ উদ্ধার করেছে।

বছর ১৫র তনুজা বেগমকে তার পরিবার নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে দিয়েছিল। তার আত্মীয়দের দাবি, শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন করা হত তনুজাকে। এর পর খুন করা হয়। তনুজা বেগমের স্বামী কাইয়ুম মিয়াকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে আগরতলার পুলিশ।