ভারত বয়কট করতেই পকেট ফাঁকা মালদ্বীপের, পর্যটক টানতে নয়াদিল্লির দ্বারস্থ মইজ্জু

মালদ্বীপে ক্ষমতায় এসেই ভারত বিরোধী জিগির তুলেছিলেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জু। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সমস্ত ভারতীয় সেনা ও নৌসেনা সরানোর সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। পাশাপাশি ওদেশে কর্মরত…

Maldeep appeles India to sent tourists to their country

মালদ্বীপে ক্ষমতায় এসেই ভারত বিরোধী জিগির তুলেছিলেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জু। দ্বীপরাষ্ট্র থেকে সমস্ত ভারতীয় সেনা ও নৌসেনা সরানোর সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। পাশাপাশি ওদেশে কর্মরত বহু ভারতীয়কে কর্মচ্যুত করা হয়। দেশজুড়ে বাড়তে থাকে ভারত বিরোধী মনোভাব। ফলে ভারত-মালদ্বীপের মধ্যে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

নয়াদিল্লির অভিযোগ ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলনের জেরেই সেদেশের ক্ষমতা দখল করে মইজ্জু। সেইসঙ্গে চিনের মদতে একাধিক ভারত বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

   

গাজা প্যালেস্টাইনের পর লেবানন, সিরিয়া, মধ্যপ্রাচ্যে একের পর এক হামলায় উন্মত্ত ইজরায়েল

আর তার জবাবে মালদ্বীপে ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নয়াদিল্লি। তারপর বলিউডের একাধিক অভিনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কট মালদ্বীপ প্রচার শুরু করে। ফলে ভারতের বহু পর্যটক মালদ্বীপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। যার কারণে বিগত কয়েক মাসে বিরাট আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হতে হয় ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রকে। কারণ মালদ্বীপের আর্থিক মুনাফার অধিকাংশই আসে ভারত থেকে। তাই ভারত মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বেকায়দায় পড়তে হয়েছে মইজ্জুর দেশকে।

কংগ্রেস আবার ফিরছে, দলীয় নেতাদের সংযত থাকার নির্দেশ সোনিয়ার

এবার খরা কাটাতেই সেই ভারতেরই শরণাপন্ন হয়েছে ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটি। আগামী ১ থেকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে পর্যটক টানতে রোড শোয়ের আয়োজন করেছে মালদ্বীপ। যার মূল থিম আবার ‘ওয়েলকাম ইন্ডিয়া’। অতীতেও ভারতীয়দের কাছে মলদ্বীপ সফরের আর্জি জানিয়েছিলেন ইব্রাহিম। বলেছিলেন, ‘‘অনুগ্রহ করে মলদ্বীপে বেড়াতে আসুন। কারণ আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের উপর নির্ভরশীল।

তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে নিয়ে কুমন্তব্য উচিত হয়নি, আফসোস সিপিএমের

এদিকে ভারতীয়দের মালদ্বীপ ভ্রমণ কমে যাওয়ায় দ্বীপরাষ্ট্রের পর্যটনে ভাটা পড়ে। মলদ্বীপের অর্থনীতি পর্যটনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় সে দেশের কোষাগারেও এর প্রভাব পড়ে। মলদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রকের তথ্যে দেখা গিয়েছে, এই বছরের শুরুতে মলদ্বীপে আসা ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ৪২ শতাংশ কমেছে। তবে পর্যটনমন্ত্রী বারবার ভারতকে আর্জি জানালেও সেই আর্জিতে এখনও চিড়ে ভেজেনি। তার কারণ মইজ্জুর ভারত বিরোধিতা। এবার ভারতের মাটিতে এই ছোট্ট প্রতিবেশীর ‘কাতর’ আমন্ত্রণে আদৌ বরফ গলবে কিনা সেটাই দেখার।