লোকসভা ভোটের পর বহু দরকষাকষির পর এনডিএ জোট সরকার গড়েছে বিজেপি। কিন্তু অতীতের চেয়ে বর্তমানে অনেক মজবুত ভাবেই বিরোধী আসনে বসেছে কংগ্রেস (Congress)। চলতি অধিবেশনেও একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে চেপে ধরতে পিছুপা হয়নি রাহুল ব্রিগেড।
চিনের সঙ্গে ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা’র নাম বদলে হোক ‘তিব্বত সীমান্ত’, দাবি বিজেপি সাংসদের
এরমধ্যেই আর দিন কয়েক বাদেই মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাসহ চার রাজ্যে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনগুলিতে জিততে মরিয়া কংগ্রেস (Congress)। কারণ, এইমুহূর্তে ওই রাজ্যগুলিতে হাওয়া বদলের যথেষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মুখিয়ে রয়েছে দিল্লির আকবর রোডের নেতারা। তবে অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাদের সংযত ও আত্মতুষ্ঠিতে না ভোগার বার্তাই দিয়েছেন প্রাক্তণ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বুধবার কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এমন বার্তাই দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে নিয়ে কুমন্তব্য উচিত হয়নি, আফসোস সিপিএমের
এদিন তিনি বলেন, “আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই চার রাজ্যে নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচন থেকে গতি ও সদিচ্ছা আমরা অর্জন করেছি তা বজায় রাখতে হবে। আমরা যেন কখনওই আত্মতুষ্ট হয়ে না পড়ি। পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে রয়েছে। কিন্তু আমাদের এককাট্টা হয়ে কাজ করতে হবে। আমি বলতে পারি, আমরা যদি ভালো ফল করি, লোকসভার পারফরম্যান্সকেই আবার তুলে ধরতে পারি, তাহলে জাতীয় রাজনীতির রংই বদলে যাবে।”
শহরে আরও ৩২০ ইলেকট্রিক বাস, সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১,৯৭০
দলের নতুন নির্বাচিত সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রাক্তণ কংগ্রেস সভানেত্রী। সেখানেই বিজেপি-আরএসএসের সমালোচনা করতে গিয়ে এমন মন্তব্যই করেছেন তিনি।
এবার লোকসভা ভোটে গত দুবারের তুলনায় তুলনামূলকভাবে ভালো ফলাফল করেছে কংগ্রেস। ২০১৯ লোকসভা ভোটে মাত্র ৫২ টি আসন পেয়ে গুটিয়ে গিয়েছিল সোনিয়া-রাহুলের দল। কিন্তু এবার সেই আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ তে। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতেও ইন্ডিয়ার কাছে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তারপর থেকেই দেশের বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে বদলের হাওয়া জোরদার হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে এমনটাই উঠে এসেছে।