হাতরাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে শতাধিক নিহত। এই দুর্ঘটনার পর স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’ পলাতক। তদন্তে নেমে পুলিশ কেন এফআইআর কপিতে সুরজপাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ভোলে বাবার নাম লেখেনি এই বিতর্ক তীব্র। অভিযোগ, ভোলে বাবাকে বাঁচাতে ততপর হয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। আরও অভিযোগ, ওই ধর্মগুরু রাজ্য সরকারে থাকা বিজেপির বিশেষ ঘনিষ্ঠ।
তু নে মারি এন্ট্রি ইয়ার…! ভোলে বাবার চেম্বার রহস্য
এমনই ধর্মগুরু ভোলে বাবার কোনো অফিসিয়াল ফেসবুক বা অন্য কোনও মা়ধ্যমের একাউন্ট নেই। তবে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আছে। দূর্ঘটনার পর তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। অভিযোগ, নিজের চেম্বারে একমাত্র মেয়েদের ঢোকার নিয়ম ছিল। তবে সেই মেয়ে কখন বের হবে তা ভোলে বাবার সাধনার সময়ের উপর নির্ভর করত। ভোলে বাবার আশীর্বাদ পাওয়ার পর বহু নি:সন্তান দম্পতি সন্তান লাভ করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই কারনে তার ভক্ত সংখ্যা বাড়তে থাকে। ভোলে বাবার বিশেষ ব্ল্যাক কমান্ডো পাহারা দিত চেম্বার।
হাতরাসের ‘ভোলে বাবা’ রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন গোয়েন্দা অফিসার। আইবি অফিসারের চাকরি ছেড়ে সে ধর্মগুরু হয়।উত্তরপ্রদেশের ইটা জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামের বাসিন্দা সুরজপাল পড়াশোনা শেষ করার পরে আইবি (ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) তে যোগ দেয় বলে জানা গেছে। আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশের পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ সাকার হরি বা ভোলে বাবা নামে পরিচিত হন। তিনি দাবি করেন, ২৬ বছর আগে ধর্মীয় বক্তৃতা দিতে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লি সহ ভারত জুড়ে ভোলে বাবার লক্ষ লক্ষ অনুসারী রয়েছে।
নারায়ণ সাকার হরি গেরুয়া পোশাক পরেন না। তাকে প্রায়ই সাদা স্যুট, টাই এবং জুতা এবং কখনও কখনও কুর্তা-পাজামাতে দেখা যায়। 1990-এর দশকে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এবং নিজেকে আধ্যাত্মিকতায় নিমজ্জিত করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, দান বাবদ প্রাপ্ত টাকা তিনি রাখেন না বরং ভক্তদের জন্য ব্যয় করেন।