Uttarkashi: উত্তরকাশীতে ১২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ উদ্ধারের কাজ, ধসে চাপা শ্রমিকরা কি বাঁচবেন?

ড্রিলিং মেশিনে ধ্বংসাবশেষ পড়ে শুক্রবার অভিযান বন্ধ হওয়ার পর বিকাল ৪টা থেকে উদ্ধারকাজ আর শুরু হয়নি। উত্তরকাশী (Uttarkashi) ভিতরে আটকে চল্লিশ শ্রমিকের জীবন কি বাঁচানো…

Uttarkashi-tunnel

ড্রিলিং মেশিনে ধ্বংসাবশেষ পড়ে শুক্রবার অভিযান বন্ধ হওয়ার পর বিকাল ৪টা থেকে উদ্ধারকাজ আর শুরু হয়নি। উত্তরকাশী (Uttarkashi) ভিতরে আটকে চল্লিশ শ্রমিকের জীবন কি বাঁচানো সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন। যদিও পাইপের মধ্য দিয়ে জল, খাবার, অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। তবে ফের ধসের সম্ভাবনা। এতেই বাড়ছে উদ্বেগ।

ইন্টারন্যাশনাল টানেলিং এবং আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক আর্নল্ড ডিক্স শুক্রবারই বলেছেন,”এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, ৪০ জনের জীবন বড় বিপদের মধ্যে রয়েছে”। তিনি আরও জানান, যদি পরবর্তী ঘন্টার মধ্যে উদ্ধারকাজ প্রভাবিত না হয়, আমি আমাদের সমস্ত সদস্য দেশের পক্ষ থেকে সমস্ত সহায়তা দেওয়ার জন্য ভারতে মোতায়েন করব। ভারত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় টানেলিং দেশগুলির মধ্যে একটি। আমরা ভারতকে সব ধরনের সাহায্যের প্রস্তাব দিচ্ছি।

উত্তরকাশী টানেল রেসকিউ অপারেশন সপ্ত দিনে প্রবেশ করেছেন। যদিও  শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে উত্তরকাশী টানেলে উদ্ধার অভিযান থমকে আছে। আনুভূমিক ড্রিলিং সফল না হলে একটি বিশেষ দল এখন টানেলের উপরের অংশ থেকে উল্লম্ব ড্রিলিং করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

উদ্ধারকারী দলগুলি শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরকাশীতে ধসে পড়া নির্মাণাধীন টানেল থেকে 24 মিটার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়। 60 মিটার ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে থাকা শ্রমিকরা পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ পাচ্ছেন এবং তাদের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ধসে আটকে পড়া শ্রমিকদের সাথে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ চলছে। শ্রমিকদের জন্য খাবার, জল এবং অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে ওয়াকি-টকির মাধ্যমে উদ্ধারকারীদের সাথে যোগাযোগ চলছে। উত্তরাখণ্ড সরকরের তরফে টানেলের  কাছাকাছি হাসপাতালগুলিকে  তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।