সুপ্রিম কোর্টেও মিললনা স্বস্তি, ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আর্জি খারিজ

চলতি বছরের শুরুতেই ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি অনুদানের ছাড়পত্র বা এফসিআরএ বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড়পত্র দেওয়ার আবেদন জানিয়ে…

Supreme Court

চলতি বছরের শুরুতেই ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি অনুদানের ছাড়পত্র বা এফসিআরএ বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড়পত্র দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রায় ছয় হাজার সংস্থা ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের আর্জি জানিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত ওই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।

গ্লোবাল পিস ইনিশিয়েটিভ নামে একটি মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই আবেদন করেছিল। ওই সংস্থা তার আবেদন জানায়, করোনা মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতিতে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বিদেশি অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা চরম সমস্যার মুখে পড়েছে। যতদিন ভারতে করোনা মহামারী প্রকোপ রয়েছে ততদিন যাতে মানুষকে সাহায্যের কাজ চালিয়ে যাওয়া যায় সে কথা মাথায় রেখে সংস্থাগুলিকে যেন বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ বিদেশি অনুদানের ছাড়পত্র বাতিলের বিষয়টি যেন প্রত্যাহার করা হয়। প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয় ওই আবেদনে।

বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ১১ হাজার ৪৯৪ টি সংস্থা বিদেশি অনুমোদন পাওয়ার জন্য ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছিল। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণ করেছে। যে সমস্ত সংস্থার ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণ করা হয়নি তারা প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে আবেদন করতে পারে। তারাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি কবে হবে সে বিষয়ে আজ কোনও দিন ঘোষণা করেনি বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত সংস্থা মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের বিদেশি অনুদানের ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসতেই গোটা দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছিলেন। এরপরই মোদি সরকার তড়িঘড়ি মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।