অন্ধকারে ডুবল মুম্বই

রবিবার দীর্ঘক্ষণ অন্ধকারে ডুবে থাকল মুম্বইয়ের একটা বড় অংশ। পাওয়ার গ্রিডে বিপত্তির কারণেই বেশ কয়েক ঘণ্টা নিষ্প্রদীপ থাকল মুম্বই। যার ফলে থমকে যায় লোকাল ট্রেন…

রবিবার দীর্ঘক্ষণ অন্ধকারে ডুবে থাকল মুম্বইয়ের একটা বড় অংশ। পাওয়ার গ্রিডে বিপত্তির কারণেই বেশ কয়েক ঘণ্টা নিষ্প্রদীপ থাকল মুম্বই। যার ফলে থমকে যায় লোকাল ট্রেন চলাচল। ফলে চরম সমস্যায় পড়েন মুম্বইয়ের সাধারণ মানুষ।

রবিবার সকালে মুম্বইয়ের দাদার, সিএসএমটি, বাইকুল্লা, চার্চগেট, সিওন, মাতুঙ্গার মত এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। আন্ধেরি এবং চার্চগেটের মধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় থমকে পড়ে লোকাল ট্রেন। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় অফিস যাত্রীদের তেমন ভিড় ছিল না। তবে যে সব মানুষ বিভিন্ন কাজে ট্রেন ধরতে এসেছিলেন তাঁরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। বৃহনমুম্বই পুরো নিগমের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল বলেছেন, শহরের প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার বিদ্যুৎ লাইনে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় শহর অন্ধকার নেমেছে।

একদিনের ঘটনা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে দ্রুত কাজ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানান। অন্যদিকে ইকবাল সিং বলেন, মূলত মুলুন্দ-ট্রাম্বের টাটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমএসইবি ২২০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন বসে যাওয়ার কারণেই এদিন মুম্বইয়ের বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। অন্যদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বেস্ট জানিয়েছে, টাটা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার গ্রিডে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণেই এদিন বিপত্তি ঘটেছে। তবে তাঁরা যত শীঘ্র সম্ভব পরিষেবা স্বাভাবিক করেছেন।

শেষ পর্যন্ত সকল ১২টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিদ্যুৎ ফিরে আসায় আবার শুরু হয় ট্রেন চলাচল। হঠাৎই বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ পানীয় জলের সমস্যায় পড়েন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয় না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা বেস্ট।