পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে দিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

সংগীত হল তাঁর জীবনের সাধনা। গোটা জীবনটাই সংগীতের জন্য নিবেদিত। দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা-সহ একাধিক ভাষায় গেয়েছেন কয়েক হাজার গান। কিন্তু তারপরেও…

sandhya mukherjee

সংগীত হল তাঁর জীবনের সাধনা। গোটা জীবনটাই সংগীতের জন্য নিবেদিত। দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা-সহ একাধিক ভাষায় গেয়েছেন কয়েক হাজার গান। কিন্তু তারপরেও যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি তাঁকে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের মনে পড়ে তাঁর কথা। তাই মঙ্গলবার প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে (Sandhya Mukherjee) চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু এই কিংবদন্তি শিল্পী বিনয়ের সঙ্গেই সেই সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছেন।

৯০ বছরের সন্ধার চেয়ে অনেক কম বয়সিরা আগেই এই সম্মান পেয়েছেন। মোদি সরকারকে ফোনেই শিল্পী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর এই সম্মানের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবারই পদ্ম প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই তালিকায় রয়েছে গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নাম। তালিকা প্রকাশের পর মঙ্গলবার শিল্পীর কলকাতার বাড়িতে দিল্লি থেকে ফোন করা হয়। শিল্পীকে জানানো হয়, তাঁকে এবার পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দিল্লিতে ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে এই প্রবীণ শিল্পী সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পদ্মশ্রী সম্মানের কোনও প্রয়োজন নেই। মানুষ তাঁকে যে সম্মান দিয়েছে সেটাই যথেষ্ট।

এদিন শিল্পীর কন্যা সৌমি সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ১২ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইছেন এই সঙ্গীতশিল্পী। প্রায় ৭৮ বছর ধরে চলছে তাঁর সংগীত সাধনা। কিন্তু এতদিন পরেও এই সংগীতজ্ঞকে সামান্য সম্মানটুকু দেওয়ার কথা মনে করেনি দিল্লির সরকার। তার চেয়ে অনেক কম বয়সি শিল্পীকেই আগেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। শিল্পীর পরিবারের অভিযোগ, এই তালিকা প্রকাশের আগে পর্যন্ত তাদের এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তালিকা প্রকাশের পর নিতান্তই দায়সারাভাবে তাঁদের পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়ার খবরটি জানানো হয়। কিন্তু শিল্পী দিল্লিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এই সম্মান নিতে পারবেন না। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ২০১১ সালেই এই শিল্পীকে বঙ্গ বিভূষণ সম্মানে সম্মানিত করেছেন।