Meghalaya Election 2023: বাংলার বাইরে সরকার হবে? মেঘের দেশে ভোটের কবিতা লিখতে মরিয়া মমতা

ফল হয় তিনি শিলংয়ের সিংহাসন দখল করবেন অথবা গারো পাহাড়ের নিচে গড়িয়ে পড়বেন। তবে মমতা চান মেঘালয়ে ‘ভোটের কবিতা’ লিখতে। সোমবার সেই কবিতা লেখার দিন। বাঙালিদের অন্যতম প্রবাস মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Election 2023)। অ

Mamata Banerjee to campaign in Tripura

প্রসেনজিৎ চৌধুরী: আঞ্চলিক দল থেকে সর্বভারতীয় দলের তকমা দরকার। অন্তত আগামী লোকসভা ভোটের আগে নিজেকে মোদী তথা বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরতে দরকার একটা বড় লাফ। সেই লাফ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃ়ণমূল কংগ্রেস (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

এই রাজনৈতিক লম্ফনের ফল হয় মমতা শিলংয়ের সিংহাসন দখল করবেন অথবা গারো পাহাড়ের নিচে গড়িয়ে পড়বেন। তবে মমতা চান মেঘালয়ে ‘ভোটের কবিতা’ লিখতে। সোমবার সেই কবিতা লেখার দিন। বাঙালিদের অন্যতম প্রবাস মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন (Meghalaya Election 2023)। অভিযোগ, এ রাজ্যে ‘ব্যাক ডোর দিয়ে বিধানসভায় ঢুকে বিরোধী দলের মর্যাদা হাসিল করেছেন তৃণমূল নেত্রী’। সেই শক্তি নিয়েই মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে নেমেছেন মমতা।

৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় ক্ষমতাসীন হওয়ার জন্য দরকার ৩১টি আসন। শাসক এনপিপি জোটের শরিক হয়েও বিজেপি আলাদা লড়াই করছে। আর আছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও এনসিপি। গতবারের ভোটে কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে মেঘালয়। ততকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা এখন তৃ়ণমূলী। তাঁর নেতৃত্বেই কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে বিধানসভায় বিরোধী দল হয়েছে টিএমসি। উত্তর পূর্বের অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মুকুল সাংমার ম্যাজিক কৌশলে ভর করেই মেঘালয়ে বাজি ধরেছেন মমতা। এনপিপি, কংগ্রেস ও বিজেপির সাথে তৃণমূলের চতুর্মুখী লড়াই।

বছর খানেক আগেও এ রাজ্যের কোনও এলাকায় খাতায় কলমে তৃণমূলের অস্তিত্ব ছিলনা। তবে এখন শিলং সহ বিভিন্ন বিধানসভায় জোড়া ফুলের পতাকা দেখা যাচ্ছে। মুকুল সাংমা জানিয়েছেন, ভোটের পর এনপিপি ও বিজেপি কারোর সাথে জোট করবে না টিএমসি। তবে অন্যান্য সমমনা দলের সাথে জোট হতে পারে। এক্ষেত্রে কংগ্রেসকে পাশে টানার ইঙ্গিত আসছে। যদিও প্রচারে এসে রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই তৃণমূল এসেছে মেঘালয়ে।

আলোচনায় উঠে আসছে, দলবদলু মুকুল সাংমার ভূমিকা। তাঁকে বিজেপি ও কংগ্রেস দুই শিবিরে টেনে নেওয়ার অদৃশ্য প্রতিযোগিতায় শুরু হয়েছে। তবে মুকুল আপাতত মমতা শিবিরের সেনাপতি। যদি তৃ়ণমূল কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারে তাহলে তিনিই ফের মুখ্যমন্ত্রী হবেন।

তিনবার পশ্চিমবঙ্গে সরকার ধরে রেখেছেন মমতা। তাঁর ও তৃ়ণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিজেপিকে একমাত্র তৃণমূলই রুখতে পারে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে সম্পূর্ণ ভুয়ো দাবি করছেন মমতা। কারণ, তামিলনাডুতে বিজেপিকে একেবারে নোনা জল খাইয়ে ছেড়েছে ডিএমকে। কেরলে বিজেপিকে ভয়বহ পরাজয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে সিপিআইএম। দিল্লি দখলে আম আদমি পার্টির কাছে বারবার হেরেছে পদ্ম শিবির। ছত্তিসগড় ও হিমাচলে কংগ্রেসের কাছে হার ও পাঞ্জাবে আপের কাছে পরাজিত মোদী-শাহর জুটি।

মেঘালয়ে নির্বাচনে ঝাঁপানোর আগে গোয়াতে লড়াই করতে গিয়েছিলেন মমতা। সে রাজ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দলে টানলেও ভরাডুবি হয় তৃ়ণমূলের। আর বাংলাভাষী রাজ্য ত্রিপুরার ভোটে নামলেও সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি টিএমসি। কিন্তু মেঘালয়ে ভিন্ন পরিস্থিতি। এখানে তুমুল চর্চিত তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও পশ্চিমবঙ্গের একাধিক দুর্নীতির তদন্তে দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের জেলে যাওয়া অনবরত তাড়া করছে মমতাকে। তবে মমতা দাবি করেছেন মেঘালয়ে টিএমসি সরকার গড়লে দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন চলবে।