স্ত্রী নাকি বাবা-মা, ভারতীয় সেনায় পেনশন বিধিতে বড় বদলের ইঙ্গিত

২০২৩ সালের ১৯ জুলাই, সিয়াচেনের সেনাশিবিরের গোলাবারুদ রাখার ঘরে আগুন ধরে গিয়েছিল। যা দেখে, নিজের তিন সহকর্মী ও চিকিৎসার সরঞ্জাম বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ভারতীয় সেনায়…

indication of change in rules for payment of pension to martyred soldiers indian army , স্ত্রী নাকি বাবা-মা, ভারতীয় সেনায় পেনশন বিধিতে বড় বদলের ইঙ্গিত

২০২৩ সালের ১৯ জুলাই, সিয়াচেনের সেনাশিবিরের গোলাবারুদ রাখার ঘরে আগুন ধরে গিয়েছিল। যা দেখে, নিজের তিন সহকর্মী ও চিকিৎসার সরঞ্জাম বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ভারতীয় সেনায় কর্মরত ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। সেখানেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হন অংশুমান। চলতি বছরের ৫ জুলাই ক্যাপটেন অংশুমানের পরিবারের হাতে মরণোত্তর সম্মান ‘কীর্তি চক্র’ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। যা গ্রহণ করেন অংশুমান সিংয়ের মা এবং স্ত্রী। এরপরই বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়।

অংশুমানের বাবা, মায়ের দাবি ছিল, ‘কীর্তি চক্র’ এবং যাবতীয় অর্থ নিয়ে বাড়ি ছেড়েছেন তাঁদের পুত্রবধূ। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। অংশুমানের বাবা, মা ভারতীয় সেনায় পেনশনের নিয়ম পরিবর্তনের দাবি নিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। সন্তানের মৃত্যুর পর কি তাহলে তাঁর প্রাপ্ত জিনিসের উপর কোনও অধিকার নেই অভিভাবকদের? প্রশ্ন উঠে যায়। এর পরেই সেনার ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতি বদলের দাবি জোরলো হয়।

   

ঘুষ হিসাবে পুলিশের দাবি ৫ কেজি আলু! জানাজানি হতেই সাসপেন্ড ‘কীর্তিমান’ খাঁকি উর্দি

সেই দাবির প্রেক্ষিতে, শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ লোকসভায় প্রশ্ন উত্থাপন করেন। জানতে চান, কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সেনা আধিকারিক বা জওয়ান শহিদ হলে এককালীন ক্ষতিপূরণের অর্থ এবং পেনশন কার প্রাপ্য? যা নিয়ে অবস্থা স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় সরকার।

মালয়েশিয়ার আকাশে দাপট দেখাল ভারতীয় বায়ুসেনা

প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ জানিয়েছেন, আগেই তাঁদের কাছে শহিদের বাবা, মা এবং স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক পেনশন বণ্টনের একটি প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবটি বিবেচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে এ নিয়ে সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তবে নিয়মে কোন কোন ক্ষেত্রে বদল আনা হবে তা স্পষ্ট করেনি কেন্দ্র।

অলিম্পিক পদকে ‘ভেজাল’ ব্রোঞ্জ? টুর্নামেন্ট শেষের আগেই ফিকে তামাটে রং

ভারতীয় সেনার বর্তমান ‘নেক্সট অফ কিন’ নীতিকে কী উল্লেখ রয়েছে?

আইন অনুযায়ী অবিবাহিত কোনও সেনার নিকট আত্মীয় বলতে বোঝানো হয় তাঁর বাবা, মা-কেই। তবে বিয়ের পরে নিকট আত্মীয় বলে বোঝায় স্ত্রী’কে। ফলে আইনত কোনও জওয়ানের মৃত্যুর পর তাঁর সব কিছু স্ত্রীর প্রাপ্য। সেনা অবিবাহিত হলে সেক্ষেত্রে পেনশন পাবে তাঁর পরিবার। এছাড়া পিএফ, গ্র্যাচুইটি, বিমার অর্থ যাবে সংশ্লিষ্ট কর্মীর পূর্বঘোষণা মতোই।