পুলিশের ঘুষ খাওয়ার বিষয়টি একেবারেই নতুন নয়। টাকার হিসাবেই ঘুষ চলে বেশি। সেই ঘুষের জিনিসেই অভিনবত্ব। এবার ঘুষ হিসাবে ৫ কেজি আলু চেয়ে বসল পুলিশ। কিন্তু, পচা শামুকে পা কেটেছে উর্দিধারীর। অভিযুক্ত সাব ইনস্পেক্টরের ঘুষ চাওয়া অডিও ভাইরাল হতেই যত বিপত্তি। শেষপর্যন্ত সাসপেন্ড করে মানরক্ষার চেষ্টা করেছে প্রশাসন।
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কনৌজের। তদন্তে জানা গিয়েছে, সৌরিখ থানার অন্তর্গত ভাওয়ালপুর চাপুন্না চৌকিতে কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর রাম কৃপাল সিং। দিন কয়েক আগে রাম কৃপালের একটি অডিও ভাইরাল হয়। সেখানেই শোনা যাচ্ছে, এক কৃষকের থেকে ৫ কেজি আলু ঘুষ হিসাবে দাবি করছেন এই পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর। কিন্তু, কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে ওই কৃষক বলছেন, তিনি অক্ষম ৫ কেজি আলু দিতে। বদলে দেবেন ২ কেজি। তখন চটে লাল রাম কৃপাল। শেষপর্যন্ত ঘুষের রফা হয় ৩ কেজি-তে। মনে করা হচ্ছে, ঘুষ হিসাবে ‘আলু’ এক প্রতীকি শব্দ হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী।
এরপরই ভাইরাল ওই অডিওর সূত্রে বিভাগীয় তদন্ত হয় রাম কৃপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে। আর তাতেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তারপরই কনৌজের পুলিশ সুপার রাম কৃপালকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন।
UP Not for beginners
In Kannauj, a cop asked for ‘5 Kg Aloo’ as a bribe. The other person expressed inability to give & said he could afford only 2 Kgs. The Deal was settled at 3 Kgs. The Cop has been suspended, ACP Kannauj says that Aloo was being used as a Code word. pic.twitter.com/ZBkZFd40O9— Tanishq Punjabi (@tanishqq9) August 10, 2024
কনৌজের পুলিশের তরপে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘উপরের ঘটনায়, এসআই রাম কৃপালকে ৭ অগস্ট ২০২৪, তারিখে পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, কনৌজ প্রাথমিকভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে অবিলম্বে বরখাস্ত করেছেন৷ অবিলম্বে বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।’ সম্পর্ণ তদন্তবার দেওয়া হয়েছে, কনৌজ শহরে পুলিশের সার্কেল অফিসার কমলেশ কুমারকে।
বিহার হয়ে কোথায় পাচার হচ্ছে পরমাণু বোমার উপকরণ?