ভারতের বুকে চলছিল পারমানবিক বোমার সামগ্রী পাচার। বিহারের গোপালগঞ্জের ঘটনা। ওই রুটেই পরমাণু বোমার সামগ্রী পাচার হবে। ‘সোর্স’ মারফত আগেই সেই খবর পেয়েছিল পুলিশ ও গোয়েন্দারা। সেই সূত্র ধরে ওই জায়গায় নজর রাখছিল পুলিশ। অনুমান সঠিক ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে পারমানবিক সামগ্রী পাচার করছিল তিন যুবক। ওঁত পেতে তাঁদের পিছু নেয় পুলিশ। শেষপর্যন্ত হাতেনাতে তাঁদের পাকড়াও করা হয়।
ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, সিবিআই তদন্ত আপত্তি নেই, আরজিকর নিয়ে বার্তা মমতার
গাড়ি থামিয়ে তাঁদের ব্যাগে তল্লাশি চালানোর সময় বেরিয়ে আসে ৫০ গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়াম। প্রতি গ্রামের দাম ১৭ কোটি টাকা অর্থ্যাত্ যার মোট বাজার মূল্য ৮৫০ কোটি টাকা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোথা থেকে এই বিপুল পরিমান ক্যালিফোর্নিয়াম তাঁরা পেল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেইসব বিষয়ে জানতে পুলিশ ধৃতদের জেরা শুরু করেছে।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, নির্যাতিত সংখ্যালঘু মহিলারা! প্রতিবাদে সরব প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার
তবে ওই পুলিশি জেরায় মুখ খোলে ধৃতেরা। তাঁরা পুলিশকে জানায়, আইআইটি মাদ্রাজের ল্যাবোরেটরির জন্যই ক্যালিফোর্নিয়ামের অর্ডার পায় তাঁরা। সেখানে পৌঁছে দিতেই এই মারাত্মক পারমাণবিক সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল। যদিও আইআইটি মাদ্রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্তদের দাবি নস্যাত্ করছে তাঁরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রহস্য আরও ঘনীভূত শুরু করেছে। অতীতেও উত্তরপ্রদেশে ১৯ গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়াম উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
ক্যালিফোর্নিয়াম
সাদ্দাম স্টাইলে হাসিনা উত্খাত, নেপথ্যে ‘আরব্য রজনী’র দারুচিনি দ্বীপ?
ক্যালিফোর্নিয়াম কী?
ক্যালিফোর্নিয়াম এক ধরণের তেজস্ক্রীয় পদার্থ। পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে যার প্রয়োজন হয়। ১৯৫০ সালে আমেরিকার লরেন্স বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে এটি পরিশোধিত করা হয়। মার্কিন মুলুকে প্রথম এটির প্রচলন হওয়ার জন্য আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশের নাম অনুসারে এর নাম হয় ক্যালিফোর্নিয়াম।