রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের দু বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও মেলেনি শান্তি স্থাপনের পথ। এবার সেই সমস্যা সমাধানেই শান্তি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে কানাডা। আগামী নভেম্বরেই কানাডায় আয়োজিত হতে চলেছে দুটি শান্তি বৈঠক। সেখানে ভারত সহ বিভিন্ন দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে কানাডায় আয়োজিত ওই বৈঠকে যোগ দেবে না ভারত। তার কারণ খালিস্তান ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে তলানিতে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (India canada relation)।
Kalipuja: দুর্গাপুজোর মতোই কালিপুজোয় সরকারি অনুদানের দাবি কমিটিগুলির
তাই এই বৈঠক থেকে দূরে থাকতে চায় ভারত। তবে নিউ দিল্লির বক্তব্য, ওই বৈঠকে রাশিয়াকেই আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা সহ পশ্চিমী দেশগুলি। যারফলে রাশিয়াকে ছাড়া ওই বৈঠকে আলোচনা কোনওভাবে সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অতীতেও একাধিকবার রাশিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যুদ্ধ সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে ভারত। এবারেও তার ব্যতীক্রম নয় বলেই দাবি কূটনৈতিক মহলের।
এদিকে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপের মুখে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (JustinTrudeau)। খালিস্তান ইস্যুতে ভারতকে ধারাবাহিক ভাবে তোপ দাগতে থাকায়, লিবারেল পার্টির একাংশই কানাডার প্রধানমন্ত্রীর উপরে অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে। তিনি আসন্ন নির্বাচনে খালিস্তানপন্থী (khalistan) শিখদের ভোট পেতেই ভারত বিরোধী মনোভাব নিয়েছেন বলেই মনে করছে তাঁর নিজের দলের নেতারাই।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরাজয়ের পর প্রশ্নের মুখে গৌতম গম্ভীরের ‘অতি আক্রমণাত্মক’ কৌশল
যারফলে দলের ২৪ জন সাংসদ ইতিমধ্যেই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবী পত্রে স্বাক্ষর করেছেন। গত জুলাইতে ভোট বিপর্যয়ের আন্দাজ করেই লিবারেল পার্টির জোটসঙ্গ ত্যাগ করেছে খালিস্তানপন্থী ভারত বিরোধী নেতা জগমিত সিং-য়ের দল এনডিপি বা নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। তারপরই রীতিমতো বেকায়দায় পড়তে হয়েছে ট্রুডোর প্রশাসনকে। সরকার টেকাতেই সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে নিজ্জার ইস্যুকে টেনে শিখ ভোটারদের কাছে পেতে চেয়েছিলেন ট্রুডো।
তিন দিনেই লড়াইয়ের ইতি! ৬৯ বছর পর ঘরের মাঠে ভারতকে হারিয়ে ‘ইতিহাস’ কিউয়িদের
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে ২০২০ সালে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে ঘোষণা করেছিল ভারত। তিন বছর পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারের একটি গুরুদ্বারের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এর পরে নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। কিন্তু তারফলে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক বৈরিতা বাড়িয়ে আখেড়ে কিছুই লাভ হয়নি অটোয়ার। এমনটাই মনে করছে সেদেশের রাজনৈতিক মহল।