“কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুরবস্থার জন্য দায়ী হলে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হোক”, বললেন ফারুক আবদুল্লা

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভিটেমাটি ছেড়ে পালানোর ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একটি সিনেমা প্রকাশ হয়েছে। সরাসরি নাম না করলেও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ছাড়া হওয়ার পিছনে আঙুল তোলা হয়েছে…

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভিটেমাটি ছেড়ে পালানোর ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি একটি সিনেমা প্রকাশ হয়েছে। সরাসরি নাম না করলেও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ছাড়া হওয়ার পিছনে আঙুল তোলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার দিকে। যা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের এই প্রবীণ নেতা। মঙ্গলবার ফারুক বলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুরবস্থার জন্য যদি তিনি দায়ী হন তাহলে তাঁকে যেন ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফারুককে এদিন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, কোনও উপযুক্ত বিচার কমিটি নিয়োগ করে যদি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা যায় তাহলেই প্রকৃত সত্যটা সামনে আসবে। তখন সকলেই জানতে পারবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ঘর ছাড়ার জন্য দায় কার। সেই তদন্তে যদি দেখা যায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুরবস্থার জন্য আমি দায়ী তাহলে দেশের যে কোনও প্রান্তে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হোক। আমি সেই বিচারের মুখোমুখি হতে রাজি আছি। কিন্তু অকারণে কিছু মানুষকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুরবস্থার জন্য এভাবে দায়ী করা আদৌ ঠিক নয়। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।

   

ফারুক আরও বলেন, তিনি মনে করেন না যে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের ঘরছাড়া হওয়ার পিছনে তাঁর কোনও দায় আছে। বরং মানুষ যদি প্রকৃত সত্যিটা জানতে চায় তাহলে তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে একবার কথা বলুক। কাশ্মীরি পন্ডিতরা যখন ভিটেমাটি হারিয়ে অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছিলেন সে সময় কেরলের বর্তমান রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার সঙ্গে কথা বললেও অনেক কিছু জানা যাবে। একইসঙ্গে ফারুক দাবি করেন, সে সময় যে শুধু কাশ্মীরি পন্ডিতরা ভিটেমাটি হারিয়ে রাজ্য ছাড়া হয়েছিলেন তা নয়। কাশ্মীরের বহু শিখ ও মুসলিম পরিবারকেও একই ধরনের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছিল। অথচ সে কথা কেউ বলছে না।