বীরভূমে আগুনে পুড়ে একই গ্রামের অন্তত দশজন মৃত। অভিযোগ, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত। রামপুরহাটের (Rampurhat Massacre) বগটু়ই গ্রামে মৃতরা সবাই তৃণমূলেরই সমর্থক। যদিও আগুন লাগার বিষয়টি অ-রাজনৈতিক দুর্ঘটনা বলেই দাবি রাজ্য সরকারের। বিরোধীদের দাবি পরিকল্পিত ‘গণহত্যা’ চলেছে।
বগটুই গ্রামের এই ঘটনার জেরে রাজভবন বিতর্ক আরও উস্কে উঠল সিপিআইএম নেত্রী দীপ্সিতা ধরের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। দীপ্সিতা এই পোস্টে লিখেছেন, “জেনে গেছে জনতা, খুন করেছে মমতা”।
সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে রক্তের ছিঁটে দিয়ে এই পোস্ট করেছেন দীপ্সিতা ধর। পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। কারণ, এমন আক্রমণ তাঁর দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও করেননি। সেলিম অবশ্য পুরো ঘটনাটিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চিহ্নিত করে বলেন, বীরভূমের পাথর ও বালি খাদানের থেকে পাচারের বখরা নিয়েই স্থানীয় পঞ্চায়েত উপ প্রধান ভাদু শেখকে খুন করা হয়। তার জেরে পরবর্তী হামলার ঘটনা ঘটে বগটুই গ্রামে। নিহত ভাদু শেখের বাড়ি এই গ্রামে।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, বিরোধী শূন্য রাজ্য করতে গিয়ে তৃণমূল এখন তৃণমূলকেই শূন্য করছে। তবে সেলিম রাজনৈতিক দিক থেকে মমতাকে যেভাবে কটাক্ষ করেছেন তার থেকে এগিয়ে বাম নেত্রী দীপ্সিতা। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে রক্তের ছোপ দেওয়া ছবি পোস্ট করে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন।
বীরভূমের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ঘটনাস্থল রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম ঘিরে রাজ্য উত্তাল। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।