কন্যাসন্তান নিয়ে অশান্তি, মাইক্রোওয়েভ থেকে উদ্ধার হল একরত্তির দেহ

দক্ষিণ দিল্লির চিরাগ এলাকার বাসিন্দা গুলশন কৌশিকও ডিম্পল কৌশিক। ছেলের জন্মের চার বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁদের এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু মেয়ে…

দক্ষিণ দিল্লির চিরাগ এলাকার বাসিন্দা গুলশন কৌশিকও ডিম্পল কৌশিক। ছেলের জন্মের চার বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁদের এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছিল। কিন্তু মেয়ে হওয়ার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল মনোমালিন্য। কিন্তু সেই অশান্তির জেরে যে ছোট্ট অনন্যাকে এভাবে চলে যেতে হবে তা কল্পনার বাইরে। সোমবার অনন্যার নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে মাইক্রোওভেনের ভিতরে থেকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দিল্লি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কন্যাসন্তান হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। তার জেরেই মানসিক অবসাদের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে শিশুটির মা।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকেই দুমাসের অনন্যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার সকাল থেকেই ঘরের দরজা বন্ধ করে একাই ছিলেন ডিম্পল। অনেকক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে শাশুড়ি প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এরই মধ্যে এক প্রতিবেশী কাচের জানলা ভেঙে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েন। ওই প্রতিবেশী দেখেন, মেঝের উপর ছেলের পাশে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে ডিম্পল। তবে মেয়েটিকে তাঁরা দেখতে পাননি। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর মাইক্রোওভেনের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দু’মাসের শিশুর দেহ।

   

দক্ষিণ দিল্লির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বেনীতা মেরি জয়কার। জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁরা মনে করছেন, কন্যাসন্তান জন্ম নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। সেই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই শিশুটির মা এভাবেই নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন। তবে এই ঘটনায় পরিবারের অন্য সদস্যদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়ে হওয়ায় শাশুড়ি, স্বামী বা পরিবারের অন্য লোকেরা ওই গৃহবধূর ওপর কোনও মানষিক অত্যাচার চালিয়েছেন কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।