মুখ্যমন্ত্রী কে? শাহি-সাক্ষাতের পর নিজের গ্রামে গেলেন শিন্ডে, জটিলতা অব্যাহত

মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে জটিলতা অব্যাহত মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। বৃহস্পতিবার  দিল্লিতে শাহি-সাক্ষাতের পর নিজের গ্রামে গেলেন প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shindey)। তাঁর হঠাৎ এমন গতিবিধিতে জল্পনা বাড়ছে…

Controversy arise in Maharashtra: Eknath Shinde Leaves For His Village, Shiv Sena Leader Says He Isn’t Upset

মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে জটিলতা অব্যাহত মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। বৃহস্পতিবার  দিল্লিতে শাহি-সাক্ষাতের পর নিজের গ্রামে গেলেন প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shindey)। তাঁর হঠাৎ এমন গতিবিধিতে জল্পনা বাড়ছে মারাঠাভূমের রাজনীতিতে। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের ছয় দিন পরও রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে হবেন তা নিয়ে জল্পনা থামছে না। মহারাষ্ট্রে মহাযূতি (বিজেপি-শিবসেনা জোট) এক প্রভাবশালী বিজয় লাভ করলেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা এখনও অনিশ্চিত। মুম্বই এবং নয়াদিল্লিতে মহাযূতি (Mahayuti) নেতাদের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।  

জামা মসজিদ ইস্যুতে নিম্ন আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

   

বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাসভবনে মহাযূতি নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে মূলত মন্ত্রিসভার পদ বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। বিজেপি (BJP) বড় দপ্তরগুলো নিজের হাতে রাখতে চাইছে, যেখানে শিবসেনার নেতা এবং তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে (Eknath Shindey) কিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর চেয়ে বসেছেন। 

বিজেপি তাঁদের পছন্দের দপ্তরগুলো ধরে রাখতে আগ্রহী। অন্যদিকে, শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করতে রাজি হলেও, তিনি স্বরাষ্ট্র এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের দাবি জানাচ্ছেন। এই দুই দপ্তর রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং এগুলো যে কোনো নেতার রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে।

একনাথ শিন্ডে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার দল মহাযূতিতে সমান মর্যাদা চায় এবং গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর পাওয়ার অধিকার রাখে। তবে বিজেপি চাইছে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে।

বিজেপি এবং শিবসেনার এই জোট প্রাথমিকভাবে শক্তিশালী মনে হলেও, মন্ত্রিসভার দপ্তর বণ্টন নিয়ে বিরোধ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযূতি নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, এই দ্বন্দ্ব জোটের অভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।

শিবসেনার দাবি অনুযায়ী, তাদের সমর্থন ছাড়া বিজেপি এই জয় অর্জন করতে পারত না। তাই তারা গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দাবিতে অনড়। অন্যদিকে, বিজেপি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর পদ তাদেরই থাকবে। 

ডিসেম্বর ২০২৪: আয়কর রিটার্ন, আধার আপডেট এবং ফিক্সড ডিপোজিট রেট পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ ডেডলাইন

রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি। বিজেপি শিবিরে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নাম জোরালো হলেও, শিবসেনার পক্ষ থেকে শিন্ডে সমর্থকদের চাপ বাড়ছে।

দুই পক্ষের এই মতপার্থক্যের ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা বিলম্বিত হচ্ছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপি শেষ পর্যন্ত ফড়নবিশকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাবে এবং শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়ে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করবে।

চিন্ময় দাসের স্বচ্ছ বিচার চাই, সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা ভারতের

মহাযূতির এই অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। যদি মন্ত্রিসভার দপ্তর বণ্টনে সমঝোতা না হয়, তাহলে জোটে ফাটল ধরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।