“রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে”, অশ্বিনীর সামনেই ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণবকে পাশে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করমণ্ডলের অধিকাংশ যাত্রীই পশ্চিমবঙ্গের ছিলেন। এটা একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে বড় দুর্ঘটনা।…

আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনী বৈষ্ণবকে পাশে নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করমণ্ডলের অধিকাংশ যাত্রীই পশ্চিমবঙ্গের ছিলেন। এটা একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে বড় দুর্ঘটনা। ভাল করে তদন্ত করতে হবে। কিছু একটা তো হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “করমণ্ডল সেরা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির মধ্যে অন্যতম। আমি নিজে তিনবার রেলমন্ত্রী হয়েছি। এটা একবিংশ শতাব্দীর সবথেকে বড় রেল দুর্ঘটনা। এই ধরনের ঘটনা রেলওয়ের সেফটি কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারাই তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়।

   

আমি যতদূর জানি, এই ট্রেনে অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম ছিল না। যদি ওই ডিভাইস থাকত, তবে হয়তো এত বড় সংঘর্ষ হত না। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের তো আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এখন আমাদের কাজ উদ্ধারকাজ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা।”

মমতার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর সামনেই মমতা বলেন,’মনে হয় রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।’

তিনি এই দুর্ঘটনার সঠিক তদন্তও দাবি করেন। তিনি বলেন,’কিছু একটি নিশ্চয়ই হয়েছে। সঠিক তদন্ত করা হোক।’ তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে মৃতের সংখ্যাও জানতে চান। তিনি আরও বলেন,’বাংলার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যাঁরা আহত হয়েছেন দরকার হলে তাঁদের কলকাতা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাব।’