আইন স্নাতকদের অল-ইন্ডিয়া-বারের পরীক্ষায় ‘কাট-অফ-মার্কস’ কমানোর আর্জিতে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। যা বুধবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এরপরই আইনে স্নাতকদের মোক্ষম পরামর্শ দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
সর্বভারতীয় বারের পরীক্ষা নেয় ‘বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া’। আইন স্নাতকদের অবশ্যই কোর্টে প্র্যাকটিসের জন্য এই পরীক্ষায় পাস করতে হয়। পরীক্ষাটি ছ’মাস অন্তর বছরে দু’বার হয়ে থাকে। ১০টিরও বেশি ভাষায় পরিচালিত হয় সর্বভারতীয় বারের পরীক্ষা। আইনে স্নাতকরা যে কোনও বয়সে এই পরীক্ষায় বসতে পারেন। পরীক্ষার বিষয়গুলি- সাংবিধানিক আইন, ফৌজদারি আইন, জনস্বার্থ আইন, পরিবেশগত আইন এবং শিল্প আইনের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। এছাড়াও থাকে শুল্ক ও সাদারণ জ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্ন। বর্তমানে, এই পরীক্ষার ‘কাট-অফ’ হল সাধারণ পরীক্ষার্থীদের জন্য ৪৫ শতাংশ ও ওবিসি, এসটি, এসসিদের জন্য ৪০ শতাংশ।
গৃহিণীদের স্বামীর সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এটিএম ব্যবহারের ক্ষমতা থাকা উচিত: সুপ্রিম কোর্ট
এ দিন মামলা খারিজের পর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘এই পরীক্ষায় সাধারণের জন্য ৪৫ শতাংশ, ওবিসি এবং এসটি-এসসি’দের জন্য ৪০ শতাংশ করে কাট-অফ রাখা হয়েছে। যদি তারা এই নম্বরও তুলতে না পারে তবে ওই আইনে স্নাতক কী ভাবে আইনজীবী হবেন?’ এরপরই তাঁর পরামর্শ, ‘পড়ো ভাই’।
সম্প্রতি, তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে একটি প্রশ্নের জবাবে বার কাউন্সিলের তরফে বলা হয়েছিল যে, গত বছর পরীক্ষা দেওয়া ৫০ শতাংশেরও বেশি পরীক্ষার্থী অল-ইন্ডিয়া-বারের পরীক্ষায় পাস করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
সংগঠনের নিজস্ব ওয়েবসাইট অনুসারে, এই পরীক্ষার লক্ষ্য আইন অনুশীলন করতে ইচ্ছুক একজনের প্রাথমিক স্তরের জ্ঞান এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা মূল্যায়ন করা।
অডির মাথায় লাল-বাতি, ক্ষমতার ভুরি ভুরি অপব্যবহার! শেষ কী পরিণতি প্রবেশনারি মহিলা আইএএসের?