পূজা খেদক। ইউপিএসসি পরীক্ষায় সর্বভারতীয়স্তরে তাঁর ব়্যাঙ্কিং ছিল ৮২১। পুণেতে একজন সহকারী কালেক্টর হিসাবে পোস্টিং পেয়েছিলেন। কাজ করছিলেন একজন প্রবেশনারি আইএএস অফিসার হিসাবে। চাকরি জীবনের শুরুতেই পূজার বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। প্রবেশনারিস্তরে আইএএস অফিসারদের যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না, সেসবই জোর করে ভোগ করায় পূজাকে নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে।
অভিযোগ, পূজা খেদক তাঁর ব্যক্তিগত অডি গাড়িতে লাল-নীল বাতি লাগিয়েছিল। জ্বল জ্বল করছিল “মহারাষ্ট্র সরকার” লেখা বোর্ড। এছাড়া,
অতিরিক্ত কালেক্টর অজয় মোর যখন অফিসে আসেননি তখন পূজা তাঁর অ্যান্টি-চেম্বার দখল করেছিলেন। অতিরিক্ত কালেক্টরের সম্মতি ছাড়াই তাঁর অফিসের আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলেছিলেন বলেও অভিযোগ। এমনকি রাজস্ব সহকারীকে নিজের নামে একটি লেটারহেড, নেমপ্লেট এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদানেরও অনুমতি দিয়েছিলেন।
পুত্রের বদলে হয়েছে যমজ কন্যা সন্তান, চটে লাল বাবা! খুন করে দিলেন কবর
এই সব বেনিয়ম সামনে আসতেই, পুণের কালেক্টর সুহাস ডিভাসে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠি লিখেন। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে পুণে থেকে ওয়াশিমে বদলি করা হয় প্রবেশনারি আইএএস অফিসার পূজা খেদককে। ২০২৩ ব্যাচের এই আইএএস অফিসার ওয়াশিম জেলায় সুপার নিউমারারি অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হিসাবে বর্তমানে কাজ করবেন।
পূজা খেদকারের বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক আধিকারিক। রিপোর্টে উল্লেখ যে, দাবি-দাওয়া পূরণ নিশ্চিত করতে জেলা কালেক্টরের অফিসে চাপ দিয়েছিলেন।