অবৈধ জমি লেনদেনের আখড়া রাম-জন্মভূমি সংলগ্ন অযোধ্যা, তালিকায় উপমুখ্যমন্ত্রী-আমলা-ব্রীজভূষণের ছেলে

অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে অসাধু জমি কারবারির ব্যবসা। আর এই জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে একাধিক হেভিওয়েট নেতার। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি সাংসদ…

অযোধ্যায় রামলালার মন্দিরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে অসাধু জমি কারবারির ব্যবসা। আর এই জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে একাধিক হেভিওয়েট নেতার। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপি সাংসদ থেকে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম। অবৈধ জমি কেলেঙ্কারির এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার। মুখ পুড়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনেরও। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে এই কেলেঙ্কারির তথ্যটি সামনে আসে। যারফলে, ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

গৃহিণীদের স্বামীর সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এটিএম ব্যবহারের ক্ষমতা থাকা উচিত: সুপ্রিম কোর্ট

   

প্রকাশিত খবরটিতে দেখা গিয়েছে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পর ওই অঞ্চলের আশপাশের জমির লেনদেন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এই লেনদেন সবচেয়ে বেড়েছে, অযোধ্যা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর অন্তত ২৫টি গ্রামে। বিশেষ করে গোন্ডা এবং বস্তি এলাকায় জমির লেনদেন সবচেয়ে বেড়েছে। এই সব অঞ্চল রামমন্দিরের ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে পড়ে। আর এই জমিগুলিই কিনেছেন নেতা-মন্ত্রী সহ একাধিক প্রভাবশালীরা।

অডির মাথায় লাল-বাতি, ক্ষমতার ভুরি ভুরি অপব্যবহার! শেষ কী পরিণতি প্রবেশনারি মহিলা আইএএসের?

জানা গিয়েছে, অযোধ্যায় রামমন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ২৫টি গ্রামে ২,৫০০টিরও বেশি জমির রেজিস্ট্রির নথি খতিয়ে দেখেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এই সব জমি কেনাবেচনার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও তাঁদের আত্মীয়রা যুক্ত। তালিকায় আছে অরুণাচল প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান, ব্রিজভূষণের সাংসদ পুত্র-সহ অনেকের নাম।

মঙ্গলে মুখ পুড়েছিল, বুধে হারের যুক্তি সাজাতে আপ্রাণ চেষ্টা কল্যাণের

এই জমি কেলেঙ্কারিতে নাম রয়েছে অরুনাচলের উপ মুখ্যমন্ত্রী চৌনা মেনের ছেলে চৌ কান সেং মেন ও আদিত্য মেনের। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে রামমন্দির থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মহেশপুরের (গোন্ডা)-য় সরযূ নদীর ওপারে ৩.৭২ কোটি টাকায় ৩.৯৯ হেক্টর জমি কিনেছিলেন। ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল, তাঁরা ৯৮ লক্ষ টাকায় ০.৭৬৮ হেক্টর জমি বিক্রি করেন। অন্যদিকে, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংয়ের ছেলে করণ ভূষণ নন্দিনী ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মালিক। এই সংস্থা ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ১.১৫ কোটি টাকায় মন্দির থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে মহেশপুরে (গোন্ডা) ০.৯৭ হেক্টর জমি কিনেছিল। তার থেকে, করণ ভূষণ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ৬৩৫.৭২ বর্গমিটার জমি ৬০.৯৬ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিলেন।

এই জমি কেলেঙ্কারিতে আদানি-আম্বানি ও অন্যান্য প্রভাবশালীদের নামও যে জড়িত নেই তা এই মূহুর্তে বলা না গেলেও আগামী দিনে হয়তো সেই তালিকাও প্রকাশ পেতে পারে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।