১০ বছরে ৬ বার ভোটে হার! রাজনীতির ময়দানে চূড়ান্ত ব্যর্থ বাইচুং ভুটিয়া

এবারও ভোটে জিততে পারলেন না (Bhaichung Bhutia) ভারতীয় ফুটবল টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার প্রার্থী রিকশা দর্জি ভুটিয়ার কাছে ৪…

bhaichung-bhutia-lost-the-election-for-the-sixth-time-in-10-years

এবারও ভোটে জিততে পারলেন না (Bhaichung Bhutia) ভারতীয় ফুটবল টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া (Bhaichung Bhutia)। সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চার প্রার্থী রিকশা দর্জি ভুটিয়ার কাছে ৪ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরেছেন তিনি। সিকিম বিধানসভা নির্বাচনে বারফুং কেন্দ্র থেকে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বাইচুং।

সিকিমের প্রধান বিরোধী দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও এবার খুব খারাপ ফল করেছে। মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে তারা। অন্যদিকে উত্তর-পূর্বের এই পাহাড়ি রাজ্যের শাসকদল সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি আসন দখল করেছে। এ রাজ্যে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস-বিজেপি।

   

এর আগে বেশ কয়েকটি দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। তবে কোনওবারই খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি তিনি। নিজে দলও গড়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বারবারই জনতা-জনার্দন হতাশ করেছে বাইচুংকে। খেলার মাঠে সফল হলেও রাজনীতির মাঠে এখনও পর্যন্ত ছাপ ফেলতে পারেননি বাইচুং।

উধাও মোদী ম্যাজিক! সিকিমে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি

পশ্চিমবঙ্গ থেকে দু’বার নির্বাচনে লড়েন বাইচুং। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান বাইচুং। কিন্তু জিততে পারেননি। এরপর ২০১৬ সালে ফের তৃণমূলেরই টিকিটে শিলিগুড়ি বিধানসভায় দাঁড়ান তিনি। তবে সেবারও ভোটে জিততে পারেননি এই তারকা ফুটবলার। 

এরপর রাজনৈতিক কেরিয়ার গড়ে তোলার জন্য সিকিমে চলে যান বাইচুং। ২০১৮ সালে তৈরি করেন নিজের দল – সিকিম হামরো পার্টি। সেই দলও রাজনৈতিকভাবে স্থায়িত্ব পায়নি। ২০২৩ সালে সিকিমের প্রধান বিরোধী দল সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সঙ্গে মিশে যায় সিকিম হামরো পার্টি। এখন সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহ সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি। 

ইভিএম খুলতেই চমক! ধুয়েমুছে সাফ কংগ্রেস, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে বিজেপির জয়জয়কার

২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে গ্যাংটক ও তুমেন-লিঙ্গি থেকে লড়লেও দুটি আসনেই পরাজিত হন বাইচুং ভুটিয়া। তিনি গ্যাংটক থেকে ২০১৯ সালের উপনির্বাচনেও হেরেছিলেন।