মর্মান্তিক! গুলি করে হত্যা ১০ মাসের অন্তঃসত্তা হাতিকে

ফের মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মানব সমাজ। গুলি করে হত্যা (Elephant Murder) করা হল অন্তঃসত্তা হাতিকে। নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) কোডাগু জেলায়! জানা গিয়েছে…

ফের মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মানব সমাজ। গুলি করে হত্যা (Elephant Murder) করা হল অন্তঃসত্তা হাতিকে। নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের (Karnataka) কোডাগু জেলায়! জানা গিয়েছে পূর্ণ বয়স্ক হাতিটি শনিবার গ্রামে ঢুকে পড়ে। এরপর ওই হস্তিনীকের গুলি করে হত্যার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে।

অভিযোগ, ১০ মাসের অন্তঃসত্তা হাতিটি গ্রামের একটি কফি বাগানে ঢুকে পড়তেই তাড়া করেন গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাটি গভীর রাতে ঘটেছে কোডাগু জেলার কুশ্লানগর তালুকের রসুলপুরা বালুগোডিতে।

প্রথমিক অনুমান, হাতিটি নদী পেরিয়ে কফি বাগানে ঢুকেছিল। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে তাড়া করে, পরে গুলি করে মেরে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেতের ভিতরই লুটিয়ে পড়ে হাতিটি।

এই এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনা বহুবার ঘটেছে। প্রতি বছর খেতের ফসল নষ্ট করে ফেলে হাতির দল। রসুলপুরা এবং বালুগোডির পাশেই রয়েছে জঙ্গল। খিদের জ্বালায় রাতের অন্ধকারে হাতির দল হানা দেয় ফসল খেতে।

হাতির মৃত্যুর খবর পেয়েই ছুটে আসেন মাদিকেরি ডিএফও শিবরাম বাবু, কুশলানগরের আরএফও শিবরাম, দুবারে রেঞ্জের ডিআরএফও কেপি রঞ্জন। হাতিটির মৃত্যুর জন্য বন দফতরের আধিকারিকরা বাগানের মালিক ডিম্পু এবং দীনেশ নামের স্থানীয় আর এক বাসিন্দাকে খঁজছে। তাদের নামে অভিযোগ রয়েছে। ডিম্পু এবং দীনেশ দুজনেই ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

হাতিটির দেহের পাশেই পাওয়া গিয়েছে কার্তুজের খোল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে পরপর দু’টি গুলি করা হয়। একটি গুলি লাগে হাতির মাথায়, আরেকটি ঘাড়ে। আধিকারিক জানান, ঘটনাস্থলেই হাতিটি মারা যায়। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে হাতিটি ১০ মাসের অন্তঃসত্তা ছিল। মায়ের সঙ্গে বেঘোরে প্রান গেল সন্তানেরও।