Sohini-Saptarshi: প্রেমে বয়স নিমিত্ত, তারই প্রমাণ দিয়েছেন সোহিনীরা! বললেন, ও তো আমার থেকে অনেকটাই ছোট

Sohini-Saptarshi: ভালোবাসা থাকলে বয়স তো কিছুই নয়। কথায় আছে যে মিঞা বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি। তারই প্রমাণ দিয়েছেন সোহিনী সেনগুপ্ত ও সপ্তর্ষি মৌলিক।…

Sohini-Saptarshi

Sohini-Saptarshi: ভালোবাসা থাকলে বয়স তো কিছুই নয়। কথায় আছে যে মিঞা বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি। তারই প্রমাণ দিয়েছেন সোহিনী সেনগুপ্ত ও সপ্তর্ষি মৌলিক। এদিন এক সাক্ষাৎকারে এসে বললেন, ‘মিল ছিল বলেই প্রেমটা হয়েছে। নইলে আর কেন প্রেমটা হবে। আর একে অন্যকে ভালোবেসেছি বলেই রাতারাতি বদলে গিয়েছি সেটাও নয়।’

সপ্তর্ষি মূলত নায়কের চরিত্রেই অভিনয় করেন। খুব শীঘ্রই জি বাংলার আসন্ন ধারাবাহিক অষ্টমীতে নজর কাড়বেন তিনি। আর সোহিনী পার্শ্ব চরিত্রে। দুজনের সম্পর্কটা অত্যধিক মিষ্টি। এ প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে সোহিনী বললেন, ‘আমি ওর ঠাম্মাকে গিয়ে বলেছিলাম আমরা না ভেবেছি বিয়ে করব। ও তো আমার থেকে অনেকটাই ছোট। ভেবেছিলাম বাড়ির অমত থাকবে হয়তো। ওমা। উল্টে উনি আমায় বললেন আমার মায়ের মা ফরিদপুরে ওমেন্স ম্যাগাজিন চালাতেন। আমি সেই বাড়ির মেয়ে, তাই এসব উল্টো পাল্টা কথা বলবে না। যদি ভালবাসা থাকে তাহলে বিয়ে করো। কিন্তু কাল যদি হঠাৎ মনে হয় একে অন্যকে ভালো লাগছে না, ছেড়ে দিলাম সেটা করো না।’

এক সাক্ষাৎকারে সোহিনী জানান, সপ্তর্ষি তাঁর কথার প্রেমে পড়েছিলেন। তাঁদের কথা নাকি কখনওই ফুরোয় না। সপ্তর্ষির মুখের উপর সোজাসাপ্টা কথা বলার অভ্যাস। আর এই বিষয়টি সোহিনীর বেশ পছন্দের। মাত্র তিন মাসের আলাপেই বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, সপ্তর্ষি ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতেন না। একা থাকারই সিদ্ধান্ত নিতেন। তাঁর কথায়, ‘একসঙ্গে নাটক লেখার স্বপ্ন থেকে শুরু করে পোষ্যপ্রেম, বিশ্বনিরীক্ষ, সবেতেই আমরা একসঙ্গে পা ফেলি।’

সোহিনীকে কোনও কিছুতেই বিরক্ত করেন না সপ্তর্ষি। তাঁকে সব রকম স্বাধীনতা দেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি যখন বই পড়তে চাই, আমাকে আমার মতো ছেড়ে দেয়। যে দিন রান্না করতে চাই, করতে দেয়। ভীষণ সহজ-সরল, ভাল মানুষ ও।’