কৃষকদের দাবি না মানলে মোদি সরকারের ক্ষমতায় ফেরা অসম্ভব, বললেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ সত্যপাল মালিক

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কৃষকদের তোলা তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। রাজ্যপাল মালিক এক…

Satyapal Malik

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: কৃষকদের তোলা তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানালেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। রাজ্যপাল মালিক এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছেন, কৃষকদের দাবি মেনে তিন কৃষি আইন বাতিল না করা হলে মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল বিজেপির অত্যন্ত কাছের মানুষ হিসেবেই পরিচিত। তাই সত্যপালের এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কৃষকদের দাবি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, বিজেপি নেতারা সেখানে ঢুকতে পারছেন না। সত্যপাল উত্তরপ্রদেশের মিরাটের বাসিন্দা। তিনি বলেন, মিরাটের বহু গ্রামে বিজেপি নেতারা এখন আর ঢুকতে পারেন না। তবে শুধু মিরাট নয়, বাগপত, গোরক্ষপুর, মুজাফফরনগর-সহ বহু গ্রামে একই ছবি।

মোদি সরকার যদি আইন বাতিলের দাবি না মানে তাহলে তিনি কি কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগ করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সত্যপাল বলেন, তিনি সর্বদাই কৃষকদের পাশে রয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয় যে, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে প্রয়োজন হলে তিনি অবশ্যই পদত্যাগ করবেন।

তিন কৃষি আইন নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান সূত্রও বাতলেছেন সত্যপাল। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আইনগতভাবে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেয় তাহলেই তো সব সমস্যা মিটে যাবে। ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে কৃষকরা অবশ্যই তাঁদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু সরকার এই সামান্য কাজটুকু করছে না। সত্যপালের দাবি তিনি বিষয়টি অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানিয়েছেন। সরকারিভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এবিষয়ে অবশ্য কোনও কথা বলেননি। ভবিষ্যতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই দুইজনকে কৃষি আইন নিয়ে তার মতামত আবারও জানাবেন বলে রাজ্যপাল জানান।

রাজনীতির মঞ্চে সত্যপাল মালিক বিজেপির অত্যন্ত কাছের লোক বলে পরিচিত। সত্যপাল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জাঠ বলয়ের নেতা। তাই সত্যপালের এই বক্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।